Wife runs away with money

স্ত্রীর ভালোবাসায় পাগল স্বামী করলেন কিডনি বিক্রি, সেই টাকা নিয়ে পগারপার স্ত্রী

স্ত্রীর ভালোবাসায় কিডনি বিক্রি করলেন স্বামী। সেই কিডনি বিক্রির টাকা নিয়ে ফুরুত স্ত্রী। এ যেন এক জীবন্ত সিনেমার গল্প । কিডনি বিক্রির টাকা দিয়ে সাধের ঘর বাধবেন, সুখে কাটাবেন বাকি জীবন -। যেই নারির ভালোবাসায় নিজের জীবন কে বাজি রেখে কিডনি বিক্রি করলেন , সেই স্ত্রী কিডনি বিক্রির টাকা নিয়ে চলে গেল অন্যের ঘরে।
বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী মুমতাজ এর একটী প্রসিদ্ধ গান আছে –
আমি চাইলাম জারে,
ভবে পাইলাম না তারে।
সে এখন বাস করে অন্যের ঘরে।
কিডনি বিক্রেতা স্বামীর অবস্থা ও কিছুটা এমনই।

ভালোবাসা যে চরম সর্বনাশা। এবার এই উক্তি কে বাস্তবে রূপায়িত করলো উদয়পুরের পিত্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা গোপাল চন্দ্র দাসের দ্বিতীয় স্ত্রী শিল্পী দাস। স্বামী প্রেমিকা তথা স্ত্রী শিল্পী দেবী কে নিয়ে সুখে সংসার করবার তাগিদে নিজের একটি কিডনি অব্দি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। আর সেই স্ত্রী কিনা কিডনি বিক্রির টাকা নিয়ে পগারপার । তিন দিন পর অবশেষে আইনের কাছে সাহায্য চাইতে এলেন গোপাল বাবু।
মঙ্গলবার রাতে জনৈক এই ব্যক্তি উদয়পুর আর কে পুর মহিলা থানায় এসে অভিযোগ জানান যে তার স্ত্রী নিখোঁজ। বিগত তিন দিন ধরে মোবাইল ফোন বন্ধ স্ত্রী শিল্পী দাসের। তার পাশাপাশি ঘর থেকে উধাও প্রচুর টাকা। স্বামী গোপাল চন্দ্র দাস জানান, কিছুদিন পূর্বে কলকাতা আর এন টেগোর হসপিটালে গিয়ে স্ত্রীর স্বাক্ষর দিয়েই নিজের একটি কিডনি বিক্রি করেছেন তিনি। তার পরিবর্তে পেয়েছেন প্রচুর টাকা। যা দিয়ে দুই স্বামী স্ত্রী বাড়ি ঘর করবেন, সুখে আগামী ভবিষ্যৎ জীবন কাটাবেন বলে পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু বিগত তিন দিন আগে স্ত্রী শিল্পী দাস সেই সমস্ত টাকা সমেত উধাও হয়ে যায়। তিন দিন যাবত অপেক্ষা করেও তার কোনো খোঁজ পাননি গোপাল বাবু। তাই অবশেষে আর কে পুর থানার দ্বারস্থ হন।
উল্লেখ্য, গোপাল বাবুর আগের এক সংসার রয়েছে। যেখানে উনার স্ত্রী ও ১৫ বছরের একটি পুত্র সন্তান ও রয়েছে। কিন্তু তার পরেই শিল্পী দাসের প্রেমে পড়েন গোপাল চন্দ্র দাস। আর সেই ভালোবাসার টানেই প্রথম সংসার ত্যাগ করে দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন শিল্পী দাস কে। সেই ভালোবাসার জন্যেই নিজের কিডনি টুকু অব্দি বিক্রি করে দেন। পেশায় ডি ডব্লু এস দপ্তরের পাম্প অপারেটর ও রাজ মিস্ত্রি গোপাল বাবুর ইচ্ছে ছিল স্ত্রী শিল্পী দাস কে নিয়ে বাকি জীবন টুকু স্বাচ্ছ্যন্দে কাটাবেন। কিন্তু সেই সুযোগ আর হল না। তার আগেই শিল্পী দেব সুযোগ বুঝে সমস্ত টাকা নিয়ে পালিয়ে গেলেন। এবার তিনি একা পালালেন নাকি উনার অন্য কোনো প্রেমিকের সাথে পালালেন সেটা সন্দেহের বিষয়। তবে এতো কিছুর পরেও গোপাল বাবুর একটাই দাবী , স্ত্রী শিল্পী যেন সশরীরে ফিরে আসেন। অন্যথা অর্থ করি, শরির স্বাস্থ্য এবং জীবনের সব কিছু খুইয়ে আঁখেরে আত্ম হত্যার পথ বেছে নেবেন তিনি।
বর্তমান সময়ে এমন প্রেমের ঘটনা সত্যি বিরল। এবার গোপাল বাবুর এই নিঃস্বার্থ প্রেমের টানে শিল্পী দাস ফিরবেন নাকি উনাকে নিঃস্ব করে দিয়ে যাওয়া প্রেমিকার বেদনায় কাতর হয়ে বাকি জীবন টুকু এভাবেই কাটাবেন গোপাল চন্দ্র দাস সেটাই দেখার বিষয়। আর কে পুর থানার পুলিশই বা এই মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে পলাতক শিল্পী দাস কে খুঁজে আনতে পারবে কিনা সেদিকেও তাকিয়ে সকলে।

Leave A Reply