TTAADC scam accused arrested : এডিসির নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তরপত্র ফাঁস কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার যুবক

Khabare Pratibad
2 Min Read
TTAADC scam accused arrested

এডিসিতে নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষার উত্তরপত্র ফাঁসের কলঙ্কিত এক নায়ককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে আগরতলা পূর্ব থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ জারি রেখেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০ বছর পর এডিসিতে ১১০টি শূন্য পদ পূরন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ২৬ হাজার চাকরির প্রত্যাশা পরীক্ষার্থী চাকরি পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। এডিসি প্রশাসন রবিবার অর্থাৎ নয় জুন পরীক্ষা নেবার জন্য দিন স্থির করে। সে অনুযায়ী রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ৭১টি পরীক্ষা সেন্টার বাছাই করে রাখা হয়। রবিবার বেলা বারোটা থেকে এই পরীক্ষা হবার কথা ছিল। কিন্তু অদ্ভুতভাবে পরীক্ষার আগের দিন ৮ জুন পরীক্ষার উত্তরপত্র ফাঁস হয়ে যায়। এডিসি প্রশাসনের কাছে এই উত্তরপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি পৌঁছাতেই, প্রশ্ন এবং উত্তরপত্র মিলিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নজরে পড়ে, যে উত্তরপত্রটি ফাঁস হয়েছে সেটাই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের আনসার কি। সঙ্গে সঙ্গে এডিসি প্রশাসন থেকে এই নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। পাশাপাশি রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের এক সদস্য প্রদীপ দেববর্মা পশ্চিম থানায় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করেন। এই মামলার নম্বর ৭০/২০২৪। ইন্ডিয়ান পেনাল কোড, ১২০ বি, ৪১৮, ৪২০ ধারায় মামলা লিপিবদ্ধ করে আগরতলা পশ্চিম থানার পুলিশ তদন্তে নামে। তদন্তে নেমে এই আনসার কি ফাঁস করার পেছনে দুই ব্যক্তির নাম পুলিশের তদন্তে ওঠে আসে। এই দুই ব্যক্তি হলেন, সুজয় ঘোষ এবং চয়ন সাহা। রবিবার দুপুরে চয়ন সাহাকে গ্রেফতার করে আগরতলা পশ্চিম থানার পুলিশ। এই গ্রেফতারের পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিম থানার ওসি পরিতোষ দাস জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়ার পর চয়ন সাহাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাড়ি অ্যাডভাইজার চৌমুহনীতে। একটি জেরক্সের দোকান রয়েছে তার। জিজ্ঞাসাবাদে চয়ন সাহা স্বীকার করেছে, এডিসিতে নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের প্রধান দাতা মোহন জমাতিয়া তাকে বিশ্বাস করে আনসার কি জেরক্স করার জন্য দিয়েছিলেন। এই গুরুত্বপূর্ণ আনসার কি হাতে পেয়ে সে আনসার শীটের একটি জেরক্স কপি নিজের কাছে রেখে দেয়। পরীক্ষার আগে অবৈধ রাস্তায় লক্ষ লক্ষ টাকা কামানোর জন্যই তার এই কুবুদ্ধি জেগেছিল বলে প্রাথমিকভাবে সে স্বীকার করেছে। ওসি পরিতোষ দাস জানিয়েছেন, এই ঘটনায় আরো কয়েকজন জড়িত রয়েছে। এরাই আনসার কি-টি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করেছে। তাদের গ্রেফতার করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *