খবরে প্রতিবাদ

খবরে প্রতিবাদ

Monday, 30 June 2025 - 06:19 AM
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ - ০৬:১৯ পূর্বাহ্ণ

Tripura suffers from power outage: কুম্ভনিদ্রায় বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী, বিদ্যুতের আর্জি নিদ্রাহীন জনগণের, ত্রিপুরায় সুশাসনের চিরস্মরণীয় উদাহরণ

Tripura suffers from power outage
1 minute read
Tripura suffers from power outage

সুশাসনের ঠেলায় ৪ দিন যাবত বিদ্যুৎ বিহীন বড়জলা

সুশাসন আর ডবল ইঞ্জিনের দাপদাপানিতে অবশেষে নাস্তানাবুদ হয়ে বিদ্যুৎ এর ও যাই যাই অবস্থা। এতো চাপ কি সামলানো যায়? চাপ টা কি? শুধুই বড় বড় কথা, মঞ্চে দাঁড়িয়ে ডায়লগ বাজি। এছাড়া কিছুই না।
সুশাসনের বন্যায় এমনিতেই বর্ষা কালে রাজধানী আগরতলা অথৈ জলে ভাসে। সেটাই কি যথেষ্ট নয়? এখন আবার সেই সুশাসনের ঠেলাতেই একেবারে ৪ দিন যাবত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে আছে রাজ্যের একটি জন বহুল এলাকা।
সমস্যা নতুন নয়। তবুও পালাটানায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের খবর চাউর হবার পর রাজ্যের মানুষের মনে আশা জেগেছিল, এবার হয়তো হ্যারিকেনের আলো থেকে রেহাই মিলবে। কিন্তু না। বিজেপির এতো উন্নয়ন আর সুশাসনের মাঝেও বিশ্রাম গঞ্জের বড়জলা এলাকাবাসী ভুগছেন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে।
সম্প্রতি প্রবল ঝড় তুফানের কারণে বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গাছপালা ভেঙ্গে পড়ায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়া, খুঁটি উপড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিশ্রামগঞ্জ স্থিত বড়জলা এলাকাতেও একই কারণে দিন চারেক আগে গোটা এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এর পর থেকেই শুরু হয় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ। খুঁটি সাড়াই করে বিদ্যুৎ সংযোগ করে দেবার জন্যে বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিসে ৫০ থেকে ৬০ বার ফোন যোগে খবর পাঠানো হলেও ৪ দিন যাবত এলাকাবাসীর আবেদন , অনুনয় কে নাকচ করে চলেছে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মীরা। অবশেষে বাধ্য হয়ে এদিন বিক্ষোভে নেমে পোড়েন ঐ এলাকার প্রমীলা বাহিনী।
সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন বিদ্যুৎ দপ্তরের খামখেয়ালীপনার কথা। ৪ দিন বাদে বিদ্যুৎ দপ্তরের লাইন সাড়াই কর্মীরা বড়জলায় এলেও সংশ্লিষ্ট এলাকার একটি লাইন সাড়াই করে চলে যায়। অপর অংশটি পড়ে থাকে আগের অবস্থাতেই। এই বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্যেও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রমীলারা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ এর নির্বাচনের পর নতুন মন্ত্রীসভা গঠন করতে গিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তর সমর্পণ করে দেওয়া হয় মাননীয় রতন লাল নাথ এর হাতে। আর বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে উনাকে নিয়ে একটা মতবাদ যথেষ্ট প্রচলিত, উনার হাতে যে দপ্তর ই থাকে, সেখানেই নাকি গণ্ডগোল পাঁকে। কথাটা যদিও আমাদের নয়, সম্পূর্ণই সামাজিক মাধ্যম এবং সাধারণ জনগণের বক্তব্যের ভিত্তিতে এই মতবাদ।
তবে কথাটিকে সম্পূর্ণ রূপে হেলায় ঠেলে ফেলা যায়না। এর আগে শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্বে থাকাকালীন রাজ্যে দীর্ঘ ৫ বছরে শিক্ষা দপ্তরের তেমন কোনো মূল্যায়ন করতে পারেননি মাননীয়। এবার বিদ্যুৎ দপ্তর উনার দায়িত্বে যাবার পর থেকে যেন দপ্তরের সরকারি আধিকারিক রা হাতির পাঁচ পা দেখতে শুরু করে দিয়েছে। আর তাই দায় দায়িত্ব ভুলে দিব্যি “জেইসে মর্জি ওয়েইসে” চলছে বিদ্যুৎ পরিষেবা।
নির্বাচন নিয়ে ব্যতিব্যস্ত মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের কি আদৌ খবর আছে , রাজ্যের মানুষ এই তীব্র গরম এ বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে কিভাবে দিনাতিপাত করছেন?
আমাদের লক্ষ্য মানুষের সমস্যা গুলোকে সর্ব সমক্ষে তুলে ধরা এবং অবশ্যই দপ্তরের মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা। যাতে করে রাজ্যের দীর্ঘ মেয়াদী এই সমস্যা গুলি গোঁড়া থেকে নির্মূল করতে উপযোগী ভূমিকা পালন করা হয়।

ভিডিও