Tripura Jatrapur Ps News : নাবালিকা মেয়েকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়ে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। অভিযুক্ত যুবক কে হাজতে পাঠানোর ব্যবস্থা। মেয়েকে ফিরে পেয়ে এদিকে খুশি মা বাবা। অন্যদিকে ছেলে পুলিশ হাজতে থাকায় নাওয়া খাওয়া উঠেছে অভিভাবক দের।
১৮ই মে, ১৬ বছরের নাবালিকা মেয়ে ঘরে মা বাবার অবর্তমানে বড় দিদির ঘুমের সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে পালিয়ে যায়। বাড়ি ফিরে মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। বড় দিদি জানায়, বোন এর খবর সে কিছুই জানে না। মা বাবা সন্ধ্যার দিকে জাত্রাপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। অতঃপর গণ্ডা ছড়ার এক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা ও করে অভিভাবক। তাদের দাবী ঐ ছেলের সাথে নাবালিকা মেয়েটির সামাজিক মাধ্যমে পরিচয় ও সেই ছেলেই তাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে গেছে।
শুরু হয় তদন্ত। নাবালিকা অভিভাবকের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে পুলিশ গণ্ডা ছড়ার পুলিশের সহযোগিতায় হানা দেয় অভিযুক্ত যুবক নবজিত সরকারের বাড়িতে। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। উদ্ধার হয় নাবালিকা মেয়েটি। পরে তল্লাশি চালিয়ে অন্য এক বাড়ি থেকে ছেলেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
১২ই জুন নাবালিকা মেয়ে ও সেই যুবক কে নিয়ে আসা হয় জাত্রাপুর থানায়। অতঃপর নাবালিকা কে তার মা বাপের কাছে ফিরিয়ে দেন পুলিশ বাবু। এদিকে নাবালিকা মেয়েকে ফাঁসিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার যুবক নবজিত সরকারের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তাকে কোর্টে তুলতে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
পুলিশের এহেন ভূমিকায় বেজায় খুশি নাবালিকার মা বাবা। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, ১৬ বছর বয়সে আইনের খাতায় নাবালিকা খেতাব পেলেও বোধ জ্ঞানে কি আদৌ এরা শিশু ? একটা যুবক তাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ফাঁসিয়ে নিয়ে যায় আর সেই নাবালিকা চলেও যায় কিন্তু শাস্তির বেলা কেবল সেই যুবক কেই আইনের কাঠগড়ায় দাড় করানো হয় ? এই বৈষম্য কেন ?
একই ধরণের ঘটনার জেরে ২০ বছরের সাজা ভুগছে উদয়পুর মহকুমার এক যুবক। তাতেও আইনি গেরাকল এর সাথে পেরে উঠেন নি তার মা বাবা।
নবজিত সরকারের দোষ অবশ্যই রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কি শুধুমাত্র যুবকেরই দোষ ? সমাজে এই ধরণের ঘটনার রেশ টেনে ধরতে গেলে কি উভয় দিক থেকেই বিচার করা উপযুক্ত নৈতিকতার প্রমাণ হয়ে দাড়াতে পারে না ?
ছেলের এহেন পরিণতি তে তার মা বাবা অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। যদিও আইন শেষ কথা বলে। কোনো দুষ্ট পরিকল্পনা থাকলে অবশ্যই নবজিত এর মতো যুবকেরা শাস্তি প্রাপ্য। তার পরেও সমাজ কে কালিমা মুক্ত রাখতে হলে উভয় দিক থেকেই বিচার বিবেচনা প্রয়োজন।