Tripura Golaghati News : সরকারি হাসপাতালে ঢুকে দাদাগিরি। এক জন কিংবা দুজন নয়। গোটা পরিবার মিলে সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঢুকে হামলা হুজ্জুতি ভাংচুর চালালো ও চিকিৎসকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করলো । কিন্তু আঁখেরে এই তাণ্ডব চালিয়ে পাড় পেলনা অভিযুক্তরা।
ঘটনা ২০শে জুন শুক্রবার । এদিন রাতে আচমকা গোলাঘাটি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কাঞ্চনমালা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঢুকে হামলা চালায় গোকুল সর্দার পাড়া এলাকার কিছু লোক। তাদের মধ্যে ছিল ঐ এলাকার বাসিন্দা নারায়ন দাসের ছেলে কাজল দাস ও তার পরিবার।
জানা যায় রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে নারায়ন দাসের পরিবারের এক সদস্যার শ্বাস প্রশ্বাস জনিত সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাকে তার পরিবারের লোকেরা মিলে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ডঃ অনুপম চক্রবর্তী রোগী কে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ করার পর তাকে জিবি তে রেফার করে দেন। সেখানেই ডঃ বাবুর সাথে বাকবিতণ্ডা এবং অভব্য ব্যবহারে করে রোগীর পরিবারের লোক। এমনকি মুহূর্তের মধ্যেই হাসপাতালে তাণ্ডব চালায় তারা।
এর পর রোগী কে জিবি তে রেফার করে দিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অসভ্য তামো করা ও ডাক্তার বাবুর সাথে খারাপ আচরণ করার ফলে কাঞ্চনমালা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে খবর দেন ডাক্তার বাবু। খবর পেয়ে তারা ছুটে এসে আমতলী থানায় খবর দেন ।
খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই আমতলী থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। শনিবার উক্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষদের তরফ থেকে আমতলী থানায় লিখিত আকারে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ঐ মামলা হাতে নিয়ে শনিবার রাতে ঘটনার তদন্তকারী অফিসার রঞ্জিত চৌধুরী সহ অন্যান্য পুলিশ ও টি এস আর বাহিনী ময়দানে নেমে পরে। অতঃপর কাঞ্চনমালা বাজার থেকে অভিযুক্ত কাজল দাসকে গ্রেফতার করে এবং ঘটনার সাথে যুক্ত অপর দুইজন তথা সায়ন দাস এবং তার মা শ্রীমতি খোকন দাস কেও রবিবার সকালে গ্রেফতার করা হয়।
রবিবার দুপুরে সমস্ত আইনি প্রক্রিয়ার শেষে ঐ মহিলা সহ তিন অভিযুক্তকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এদিকে একটি সরকারি হাসপাতালে এই ধরনের ঘটনায় গোটা কাঞ্চনমালা এলাকা জুড়ে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি উঠছে। মুমূর্ষু রোগী দের যারা সারিয়ে তোলার কাজ করেন তাদের সাথেই এধরণের আচরণ তাও একেবারেই বিনা কারণে, এই বিষয় টি যেন কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ঐ এলাকার মানুষ।