Tripura CPIm News : সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর তো ছিলই বিশালগড়, এবার গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ কে ও পদতলে দাবিয়ে রাখার গোপন রহস্য প্রকাশ পাচ্ছে। রাজনৈতিক সন্ত্রাসে উত্তপ্ত বিশালগড় এর করইমুড়া তে আক্রান্ত বাম কর্মী মোশারফ হোসেন এর পরিবারের উপর বর্বরোচিত আক্রমণ ও প্রকাশ্য দিবালোকে ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়া দুষ্কৃতি দের এখনো আইনের আওতায় না আনা বরাবরই পুলিশের ভূমিকা কে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে ফেলেছে। অন্যদিকে এবার আক্রান্ত পরিবারের সাথে মহকুমা সম্পাদক পার্থ প্রতিম মজুমদার সহ প্রাক্তন বিধায়ক ও নেতৃত্বরা দেখা করতে গেলে তারা আরো বেশ কিছু নয়া বয়ান দিয়েছেন যা শোনার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে আদৌ কি আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বসবাস করছি ?
শুক্রবার ১৭ই জুন সিপিআই(এম) বিশালগড় মহকুমা কমিটির পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধি দল, দুবৃত্ত বাহিনীর আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত পার্টি নেতা মোশারফ হোসেনের বাড়ি পরিদর্শনে যান । ঘটনার দিনও তারা খোঁজ নিয়েছিলেন। যদিও তা প্রকাশ্যে জানানো হয়নি। যাই হোক, এদিন মোশারফ হোসেন এর বাড়ি যাবার পর সমস্ত ঘটনা সবিস্তারে আবারো তুলে ধরেছেন আক্রান্ত স্ত্রী ও ছেলে। তারা আরো জানান ঘটনার পর পরই বিশালগড়ের বেশ কয়েকজন মহকুমা সাংবাদিকদের ফোন করেছিলেন তারা। কিন্তু সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ভীত সন্ত্রস্ত সুরে তাদের বলা হয়, বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করুন! আমরা আসতে পারছি না এই মুহূর্তে। তার আগে বিশালগড়ে এক সাংবাদিকের কি পরিণতি হয়েছিল আপনি তো সবই জানেন। আর কিছু বলতে চাই না আমরা।
স্পষ্টতই বিশালগড়ে এবার গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের যারা সৈনিক তাদের কেও কে বা কাহারা কোনঠাসা করার চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়। কোনো ধরনের সন্ত্রাস কিংবা দূর্ণীতির খবরাখবর প্রচার করা থেকেও নাকি তাদের কে বিরত থাকার হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে। কে দিচ্ছে, বা কারা দিচ্ছে সেটা অবশ্য জনগণ বিচার করুক। তবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই ধরণের অগণতান্ত্রিক আচরণ কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যে যায়না সেটা বিশালগড়ে মাথা চারা দিয়ে উঠা কিছু অশুভ শক্তির অতি দ্রুত বোঝা উচিত। নতুবা যে বলে বলিয়ান হয়ে এই অরাজকতা কায়েম রাখার চেষ্টা চলছে সেই বল আখেরে ধূলিসাৎ হয়ে যেন না যায়।
