খবরে প্রতিবাদ

খবরে প্রতিবাদ

Saturday, 11 October 2025 - 06:49 PM
শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫ - ০৬:৪৯ অপরাহ্ণ

Tripura Congress News : স্মার্ট মিটার ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সদর জেলা কংগ্রেসের বিক্ষোভ

Tripura Congress News
1 minute read

Tripura Congress News : আগাম কোনরকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিদ্যুতের বিলের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ও স্মার্ট মিটার বসানো নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সদর জেলা কংগ্রেস। আজ বনমালীপুর বিদ্যুৎ নিগম কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব।

প্রতিবাদ সভায় কংগ্রেস নেতারা অভিযোগ করেন, স্মার্ট মিটারের আড়ালে গরিব ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে চরম ভোগান্তির মধ্যে ফেলা হচ্ছে। হাজার হাজার টাকা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আসায় সাধারণ মানুষ দিশেহারা। বক্তারা আরও দাবি করেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত জনস্বার্থ বিরোধী এবং এতে গ্রাহকদের পকেটে সরাসরি চাপ পড়ছে।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে যেখানে মানুষের আয় নেই বললেই চলে, সেখানে স্মার্ট মিটারের মাধ্যমে অতিরিক্ত বিল চাপিয়ে দেওয়া অমানবিক। সরকার কোনও ধরনের আগাম নোটিশ ছাড়াই বিল বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে কংগ্রেস তিন দফা দাবি তুলে ধরে—

অবিলম্বে স্মার্ট মিটার স্থাপন বন্ধ করতে হবে,

বিদ্যুতের মূল্য হ্রাস করতে হবে,

নিয়মিত ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা নিশ্চিত করতে হবে।

সদর জেলা কংগ্রেস জানিয়েছে, দাবি না মানা হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবে তারা।

অন্যদিকে আজ সাংবাদিক সম্মেলনে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তাঁর অভিযোগ, স্মার্ট মিটার বসানো নিয়ে জনগণকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্ত করছে সিপিআইএম।

তিনি তুলে ধরেন, ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাম আমলে একবারে ৬২ শতাংশ বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে তিনি জানান, ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাম সরকারের সময়ে মোট ১১৬ শতাংশেরও বেশি হারে বিদ্যুৎ মাশুল বেড়েছিল। অন্যদিকে বিজেপি সরকারের সময়ে ২০২০ সালে মাশুল কমানো হয়, এবং ২০২২, ২০২৪ ও ২০২৫ সালে সীমিত পরিমাণে বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, গ্যাসের আন্তর্জাতিক দামের ওঠানামা ও ডলারের দামের পরিবর্তনের জন্যই মূলত বিদ্যুৎ মাশুল পরিবর্তিত হয়। অথচ এসব তথ্য জেনেও বিরোধীরা জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিদ্যুতের বেসরকারিকরণও শুরু হয়েছিল বাম সরকারের আমলেই। বর্তমানে বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও কমিশনের নিয়ম মেনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে এবং সেই বর্ধিত বিল দুই মাসে ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অবৈধ হুক লাইন বন্ধে এবার সরকার আনছে ড্রোন ক্যামেরা — এমন ঘোষণাও দেন মন্ত্রী।

For All Latest Updates

ভিডিও