খোয়াই জেলায় চুরির রমরমায় লাগাম টানতে তৎপরতা দেখালো এবার পুলিশ
শান্তি প্রিয় ত্রিপুরায় অশান্তি তৈরির চেষ্টায় মশগুল চোর এবং ডাকাত চক্রের উপর্যুপরি হানাদারি তে অতিষ্ঠ হয়ে আছে সাধারণ মানুষ। এই তালিকায় নাম লিখিয়েছে খোয়াই জেলা ও । বেশ অনেকটা সময় যাবত খোয়াই জেলায় একের পর এক হানাদারি চালিয়ে বহু মানুষ কে নিঃস্ব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একদল চোর চক্রের বিরুদ্ধে। পুলিশ সেখানে একেবারেই ঠুঁটো জগন্নাথের ভূমিকা পালন করছে বলেও অভিযোগ ছিল স্থানীয়দের।
একের পর এক অভিযোগ এর তীরে বিদ্ধ হয়ে এবং খবরের কাগজের বড় বড় হেডলাইনে নিজেদের কে অপদস্থ হতে দেখেই এবার বোধয় কিছুটা টনক নড়ল খোয়াই পুলিশের। এবার এক যোগে চার চোর কে আটক করলো পুলিশ।
চুরির কাজে ব্যবহৃত চারটি গাড়ি ও আটক হয়েছে । সঙ্গে গ্রেপ্তার চার চোর । খোয়াইতে প্রতি রাতে চোর হানা দিয়ে চলেছে মানুষের বাড়ীঘরে, ব্যবসায়ীর দোকানপাটে । চোরের দল খোয়াইবাসীর রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। অবস্থা এখন এমন এক পর্য্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে শুধুমাত্র বাড়ি ঘরে ঢুকে দামি গয়না কিংবা নগদ অর্থ নয়, বরং চোরেরা পাঁঠা, ছাগল, হাঁস, মোরগ ইত্যাদিও তুলে নিয়ে যাচ্ছে কামাইয়ের তারনায়। মানে গৃহপালিত প্রাণী সম্পদ গুলো ও এখন যেন নিরাপদ নয়। বিগত কিছু দিন ধরে খোয়াইয়ের শহর ও আসে পাশে গ্রাম থেকে পাঠা,গরু চুরি হচ্ছে দিন দুপুরে। প্রাণী চাষিরা তাদের গৃহপালিত প্রাণী মাঠে ময়দানে বেঁধে রাখলে সেখান থেকে চোরের দল গাড়ি করে চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে সেই গৃহপালিত পশু গুলো। এই নিয়ে পুলিশ কে ও খবর দেওয়া হয়েছে ।
বিগত দিনে একের পর এক অভিযোগের পরে পুলিশ নড়েচড়ে বসেছে এবার । বৃহস্পতিবার দূর্গানগরে মাংসের দোকান থেকে চারটি পাঁঠা ও অনেকগুলো মোরগ চুরি হয় এবং জাম্বুরা থেকে ও এক কৃষকের বাড়ির সামনে থেকে ছাগল চুরি করে নিয়ে যায় চোর , এই খবর পৌছায় পুলিশের কাছে । আজ খোয়াই থানার ওসি সুবীর মালাকারের নেতৃত্বে পুলিশ তদন্তে নেমে খোয়াই থানার অন্তর্গত সিপাইহাওর, মাস্টারপাড়া ও লাটাবাড়ি এলাকা থেকে চারটি চুরির কাজে ব্যবহৃত গাড়ি উদ্ধার করে। তাছাড়া বিগত বেশ কিছু দিন যাবত যারা ছাগল চুরি করে আসছিল গাড়ি করে তার মধ্যেই চারজন চোরকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দেখার বিষয় তদন্ত চালিয়ে এই চুরি কাণ্ডের সাথে যুক্ত অন্যান্য চোর ও মূল পাণ্ডাদের ধরতে পারে কিনা খোয়াই পুলিশ।