নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ খণ্ডে নিজেকে নির্দোষ দাবী ধর্ষকের

খোয়াই : ধর্ষণ , শব্দ টা শুনতেই গায়ে কেমন একটা কাঁটা দিয়ে উঠে। দেশে ধর্ষণ কাণ্ডের ঘটনা অগণিত। প্রায় প্রত্যেক দিন কোথাও না কোথাও কোনো না কোনো মেয়ে, মহিলা কিংবা শিশু নাবালিকা ধর্ষণের শিকার। ত্রিপুরার ক্রাইম রিপোর্টের তালিকাতেও ধর্ষণ মামলার রেকর্ড নেহাত কম নয়। গত অক্টোবর মাসের রিপোর্টেই ধরা পড়েছে ৫ এর ও বেশি ধর্ষণ এর ঘটনা। তার ও পূর্বে গত আগস্ট মাসে ঘটে যাওয়া এক নাবালিকা ধর্ষণ মামলার তদন্তে নেমে এক জন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বিস্তারিত
ধর্ষণের মতো নিন্দনীয় ঘটনার সাক্ষী ত্রিপুরার খোয়াই মহকুমা। খোয়াই এর প্রত্যন্ত কচু বাড়িতে ধর্ষিতা এক নাবালিকা। ধর্ষকের নাম সুরেন তাঁতি বলে অভিযোগ পরিবারের।
ধর্ষণ করার পরে ধর্ষিতার পরিবারকে এই ঘটনা কাউকে না জানাতে হুমকি দেয় সুরেন। পুলিশকে জানানো হলে প্রানে মেরে ফেলার ভীতি প্রদর্শনও করা হয় বলে অভিযোগ মেয়েটির পরিবারের। উল্লেখ্য ধর্ষকের একটি জনজাতি ভিত্তিক রাজনৈতিক দলের সিকি নেতার পরিচিতি ও ভিত্তি রয়েছে বলে ধর্ষিতার পরিবার ভয়ে পুলিশকে ধর্ষনের বিষয়ে কিছুই জানান নি। গত ১৮-৮-২০২৪ তারিখে চাম্পাহাওর থানাধীন এলাকায় এক পনের বছরের নাবালিকা কিশোরী ধর্ষিত হয়। জানা যায় ঐদিন দুপুর দুইটা নাগাদ একই এলাকার ৩৬ বছর বয়সী ব্যক্তির দ্বারা ধর্ষিত হয় ওই কিশোরী বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনা পরবর্তী সময়ে জানতে পেরে চাম্পা হাওড়া থানায় এক মামলা হয় নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে। পাকসো আইন অনুযায়ী মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ। অবশেষে গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাতেই অভিযুক্ত সুরেন তাঁতি কে আটক করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুর দুইটা নাগাদ খোয়াই জেলা হাসপাতালে কিশোরী এবং অভিযুক্ত ধর্ষক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হয় মেডিকেলের জন্য। যথারীতি চিকিৎসকের দ্বারা জেলা হাসপাতালে দুজনের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। আগামীকাল ধর্ষককে আদালতে তোলা হবে বলে জানান তদন্তকারী অফিসার।
এদিকে অভিযুক্ত সুরেন তাতির দাবী তাকে মিথ্যে অভিযোগ ও মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। নাবালিকা মেয়ের পরিবারের সাথে নাকি সুরেনের জায়গা সংক্রান্ত বিবাদ ছিল। এই নিয়েই কিছুদিন পূর্বে তাদের মধ্যে বাক বিতণ্ডা হয় এবং সেই ঘটনার জেরেই নাকি তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। যদিও সুরেন তাতির এই বক্তব্যের সত্যতা বিচার সাপেক্ষ।
এবার আসল সত্যি কোনটা তা বেড়িয়ে আসবে পুলিশের তদন্তেই।

Leave A Reply