ধর্মান্ধ এলাকাবাসীর জিম্পি কে ফিরে পাওয়ার রাজনৈতিক পন্থা

জিম্পি দাস উরফে জিম্পি বেগম। যে কিনা নিজ ইচ্ছে মতো নিজ ধর্ম পরিবর্তন করে এক সংখ্যালঘু মুসলিম ধর্মীয় যুবকের হাত ধরে , আইনি বিধান মতে বিয়ে করে রাজ্য ছেড়ে বহিঃরাজ্যে চলে যায় সুখে সংসার করবে বলে – সেই জিম্পি কে যেন তেন প্রকারে ফিরে পেতে জারপর নাই চেষ্টা চালাচ্ছে তার পরিবার এবং ততসঙ্গে মদত যোগাচ্ছে স্থানীয় কিছু ধর্মান্ধ রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী লোকজন। কিছুদিন আগেই মানিক্য নগরের এই ঘটনা রাজ্য জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করতে যারা ব্যস্ত তাদের কাছে এ যেন আরও এক সুবর্ণ সুযোগ। তাই সাবালিকা মেয়ে জিম্পির কনফেশান ভিডিও র বক্তব্য কেও উপেক্ষা করে এলাকার কিছু লোক ও তার পরিবারের লকেদের দাবী জিম্পি কে অপহরন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সপ্তাহ খানেক পূর্বেই কলমচৌড়া থানাধীন মানিক্য নগরের বাসিন্দা সাবালিকা মেয়ে জিম্পি দাস কলেজে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে বিমান যোগে ভিন ধর্মী ফারুক ইসলামের সাথে রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে যায়। এর পর তার পরিবারের লোকজন উক্ত থানায় মামলা দায়ের করে।এর দুদিন বাদে ডেপুটেশান ও দেওয়া হয়। এরই মধ্যে জিম্পির একটি ভিডিও সামনে আসে যেখানে সে জানায় যে সে সাবালিকা এবং নিজ ইচ্ছে তে সে ফারুক ইসলামের সাথে পালিয়ে গিয়েছে। তাকে কেউ জোর করেনি। এমনকি সে স্বেচ্ছায় নিজ ধর্ম ও পরিবর্তন করেছে। তাই অহেতুক তাদের বিরুদ্ধে যেন মামলা না করা হয়। অন্যথা জিম্পি ও ফারুক এর কোনো ক্ষতি হলে সেই দায় থাকবে তার পরিবারের এবং থানার পুলিশ বাবুদের। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশ ও কিছুটা নড়েচড়ে বসে।
এর পর কলমচৌড়া থানার পুলিশ ৭ দিন সময় চেয়ে তদন্ত শেষ করে জানান যে জিম্পি বহিঃরাজ্যে চলে গেছে এবং সে তার বক্তব্য সুস্পষ্ট করেছে। এমনকি সেপ্টেম্বর মাসে তারা রেজিস্ট্রি বিয়ে ও করে নিয়েছে। সুতরাং জোর পূর্বক জিম্পি কে আঁটকে রাখা টা ও বেআইনি।
তথাপি মেয়ের পরিবারের দাবী জীবিত কিংবা মৃত – জিম্পি কে ফেরত চাই। অন্যদিকে জয় শ্রী রাম ধনী দিয়ে আজ বক্সনগর টু বিশালগড় সড়ক অবরোধ করে একদল ধর্মান্ধ লোকজন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। যাতে করে আঁটকে পরে দুই পাশে বহু যানবাহন এবং চরম যাত্রী দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। পুলিশ প্রশাসন সমস্ত তা বুঝিয়ে বললেও ভিন ধর্মী ছেলে কে মানতে নারাজ জিম্পির পরিবার নিজের অজান্তেই জড়িয়ে পড়েছে ধর্মের নামে রাজনীতিতে। যেখানে জিম্পির জীবন মরণ ও তাদের কাছে অর্থহীন।
রাজ্যে এমনিতেই ধর্মের নামে উস্কানি দিয়ে বহু অপ্রীতিকর ঘটনা এবং ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন মানুষ। কদমতলা তেও কিছুদিন পূর্বে ধর্ম নিয়ে সুড়সুড়ি দিতেই উত্তাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় জিম্পি ও ফারুক এর ভালোবাসার সম্পর্ক কে স্বীকৃতি না দেওয়া তার পাশাপাশি জীবিত বা মৃত অবস্থায় মেয়েকে ফিরে পাওয়ার মতো উস্কানি মূলক বক্তব্য সমাজের কোনো অংশের মানুষের জন্যেই শুভ বার্তা বহন করে না।

Leave A Reply