শব্দ বাজি বোঝাই গাড়ি আঁটকা পরলো আমতলী চেক পোস্টে

শব্দ বাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল বহু আগেই। কিন্তু কে শোনে কার কথা ?
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং সমাজের অচেতন নাগরিক দের দৌলতে এখনো বাজারজাত করা হচ্ছে এধরণের শব্দ বাজি পটকা। কিন্তু বুধবার এমনই এক বাজি ভর্তি গাড়ি আটকা পড়লো আমতলী থানার চেক পোস্টে।
বিপুল পরিমাণে অবৈধ শব্দবাজি আটক করল এদিন আমতলী থানার পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময়ে আরক্ষা প্রশাসন সহ সাধারণ প্রশাসনের তরফ থেকে শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়। ঠিক তারই অঙ্গ হিসাবে বুধবার রাতে আমতলী থানার সেকেন্ড অফিসার মৃণাল পালের কাছে একটি গোপন খবর আসে। সেই গোপন খবরের ভিত্তিতে থানার সেকেন্ড অফিসার মৃণাল পাল সহ এসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর গোপাল দাস এবং থানার অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা থানার সামনের নাকা পয়েন্টে উৎ পেতে বসে থাকেন। ঠিক সেই সময় আগরতলার মহারাজগঞ্জ বাজার থেকে টি আর ০৫ এ ১৭১৩ নম্বরের একটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণে শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেন পুলিশ। বুধবার রাতে থানার সেকেন্ড অফিসার মৃণাল পাল জানিয়েছেন গাড়ি চালক উদ্ধারকৃত শব্দ বাজি গুলির কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। আরো জানিয়েছেন উদ্ধারকৃত শব্দবাজি গুলির আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা। থানার সেকেন্ড অফিসার আরো জানিয়েছে বাজিগুলি গাড়ি করে বিশালগড়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে এই ব্যাপারে আমতলী থানার পুলিশ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন।
সামনেই দীপাবলি উৎসব। এই মরশুমে বাজি পটকার চাহিদা থাকে অনেকটাই বেশি। তাছাড়া বিয়ের মরশুম আসন্য। রঙ্গিন বাহারি বাজির সাথে শব্দ বাজির ও চাহিদা থাকবে বাজারে যা কিনা বলা যায় চিরাচরিত প্রথায় পরিণত হয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্যের সবকটি নাকা পয়েন্টে যদি তল্লাশি চালিয়ে শব্দ বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয় তবে অনেকাংশেই শব্দ বাজির ব্যবহারে হ্রাস টানা সম্ভব হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের সামান্য কিছু অর্থ উপার্জনের কারণে পরিবেশের যে ভীষণ রকম ক্ষতি হচ্ছে তা হয়তো কমতে পারে। তবে অবশ্যই এ বিষয়ে রাজ্য সরকার কে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে গুরুত্ব সহকারে কাজ করতে হবে। যা কিনা পরিবেশ বান্ধব মানুষ জনদের মনের আশা। দেখার বিষয় রাজ্য সরকার এই ক্ষেত্রে কোনো ঐকান্তিক পদক্ষেপ নেন কি না।

Leave A Reply