জয় শ্রী রাম বল নয়তো লাইন থেকে বেড়িয়ে যা
জয় শ্রী রাম না বললে পাবেন না মুফৎ খাবার। মুম্বাই এর মতো একটি মেট্রো পলিটন সিটি তে শ্রী রামের শ্লোগান কে হাতিয়ার করে জনসেবার নামে রাজনীতি করছে একদল সমাজসেবী মুখোশ ধারী অমানুষ ।
যে শ্রী রামের নাম একটা সময় ভারতীয়রা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতেন, আজ সেই নাম এক ভয়াবহ আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। তার কারণ “ এই জয় শ্রী রাম “ শ্লোগান কে ঘিরেই আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আমাদের আশে পাশে নিরন্তর ঘটে চলেছে নানা বিধ অপরাধ মূলক কাজ। এবার এক এনজিও র পক্ষ থেকে একই কায়দায় সংখ্যালঘু এক মুসলিম মহিলা কে দিয়ে জোর করে জয় শ্রী রাম বলানোর চেষ্টা করা হয়। মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও।
উল্লেখ্য, মুম্বাই স্থিত টাটা হাসপাতাল এর সামনে প্রায়শই বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা তাদের নানান কর্মসূচীর আয়োজন করে থাকে। এমনই এক সামাজিক সংস্থা সম্প্রতি টাটা হাসপাতালের সামনে একটি বিনামূল্যে খাদ্য বিতরনের কর্মসূচীর আয়োজন করে। যেখানে বিভিন্ন স্তরের দুঃস্থ দরিদ্র মানুষ জন খাবারের জন্যে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাতেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ঐ মুসলিম সম্প্রদায় ভুক্ত একজন মহিলা। যখন সেই মহিলা খাবার নিতে এগিয়ে আসেন তখন তাকে জয় শ্রী রাম বলতে বলা হয়। মহিলা এই শ্লোগান দিতে পারবেন না বলায় এনজিওর পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, জয় শ্রী রাম না বলতে পারলে এই লাইনে দাঁড়াবার তার কোনো অধিকার নেই। উপরন্তু লাইনে দারানো সকলকে নির্দেশ দেওয়া হয়, মুফৎ খাবার পেটে হলে জয় শ্রী রাম বলতেই হবে।
এই গোটা ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পরে। যেখানে নেটিজেনড়া উক্ত সামাজিক সংস্থার বিরুদ্ধে এক রাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে ঘটনার তুমুল সমালোচনা করেছেন। সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন এর আড়ালে ধর্মের নামে রাজনীতি করাটাই কি ছিল আসল উদ্দেশ্য?
তাছাড়া , একজন ভিন ধর্মী কে দিয়ে জোরপূর্বক হিন্দু দেবতার নাম উচ্চারন করানোটাই তো বিশাল অন্যায়। সেটাও সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই লিখে জানিয়েছেন। তাছাড়া ঐ স্থানে উপস্থিত অন্যান্যরা ও এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলেছেন।
প্রশ্ন এমন টাও উঠতে শুরু করেছে যে এই এনজিও কোনো ভাবে আরএসএস পরিচালিত নয় তো ? যদি তা হয়েই থাকে তবে স্পষ্টতই সমাজ সেবা নয়, এ শুধুমাত্র ধর্ম কে হাতিয়ার করে রাজনীতি এবং সাধারণ মানুষের উপর হয়রানি।