Saiyaara Movie Review : ‘অ্যানিম্যাল’-এর রেশ কাটতে না কাটতেই বলিউডে প্রেমের নতুন ঝড় তুলেছে মোহিত সুরি পরিচালিত ‘সাইয়ারা’। নবাগত অহন পান্ডে ও অনীত পাড্ডা অভিনীত এই ছবি মুক্তির পর থেকেই দর্শক মনে কৌতূহলের সঞ্চার করেছে। প্রথম উইকেন্ডেই বিশ্বব্যাপী ১১৯ কোটির ব্যবসা করে রেকর্ড গড়েছে ছবিটি। কিন্তু এই সাফল্যের নেপথ্যে কোন মন্ত্র?
গল্পের কেন্দ্রে রয়েছে এক পরিচিত কিন্তু চিরন্তন প্রেমের ছক— উগ্র, জেদি, সংবেদনশীল ও খানিক ‘টক্সিক’ এক যুবক কৃষ, যার জীবনে প্রবেশ করে কোমল, সংযত ও আত্মমর্যাদায় উজ্জ্বল মেয়ে বাণী। দুই ভিন্ন মেরুর দুই চরিত্র যখন একে অপরের কাছে আসে, তখন যে ধরনের টানাপোড়েন তৈরি হয়, তা যেন প্রেমের চেনা রসায়নেরই আধুনিক রূপ।
বাণী একজন কবি, যার জীবন ভেঙে পড়েছে তার প্রাক্তনের বিচ্ছেদে। কৃষ এক ব্যান্ডের গায়ক, যিনি নিজের রাগ ও অতীতের ঘা ভুলে থাকতে চায় গানে ও সুরে। সেখানেই দুজনের মিলনবিন্দু। শুরু হয় ধীরে ধীরে গড়ে ওঠা সম্পর্ক, যা বলিউডের স্টেরিওটাইপ ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট’ নয়, বরং অনেকটা বাস্তব ছোঁয়ায় রচিত।
তবে সম্পর্কের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এক অপ্রত্যাশিত ভিলেন— বাণীর শারীরিক অসুস্থতা। ছবিতে দেখানো হয়েছে, তাঁর মধ্যে অ্যালজাইমারের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায়। এখান থেকেই গল্পে নতুন মোড়, যেখানে প্রেমের পরীক্ষায় পড়ে দুই হৃদয়।
তবে এই অসুস্থতার চিত্রায়ন ঘিরে কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়। বিশেষজ্ঞ নন এমন দর্শকের কাছেও ছবির কিছু দিক অবাস্তব মনে হতে পারে— বিশেষ করে যেখানে বাণী হঠাৎ করেই তার সমস্ত স্মৃতি ফিরে পায়। বাস্তবে যা একেবারেই সাধারণ নয়।
তা সত্ত্বেও, সুর ও সংবেদনশীল মুহূর্তে মোহিত সুরির চেনা স্টাইল আবারও কাজ করেছে। প্রেম, সঙ্গীত ও অতীতের জটিলতা মিলিয়ে ‘সাইয়ারা’ দর্শকের মনে এক ধরনের রোমান্টিক নস্ট্যালজিয়া জাগিয়ে তোলে। নিঃসন্দেহে, প্রেমের পুরনো ফর্মুলাই আবারও প্রমাণ করে দিল— সঠিক মুডে পরিবেশন করলে, চেনা রেসিপিও হতে পারে সুস্বাদু।