Road blockage at Kailashahar

স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে গ্রামে জল নিষ্কাশন না করার ফলে দুইশো থেকে আড়াইশো কানি কৃষি জমি জলের নিচে থাকার কারনে কৃষি কাজ করতে পারছে না কৃষকরা। এছাড়াও সামান্য বৃষ্টি হলেই কৈলাসহরের লক্ষীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ নম্বর এবং ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সমস্ত বাড়ি ঘরে জল জমে যায়। এলাকায় ড্রেইন না থাকায় জল নিষ্কাশন হয় না। যার ফলে একদিন বৃষ্টি হলে দশদিন বাড়ি ঘরে জল জমে থাকে। বিগত দুই বছর ধরে গ্রামবাসীরা এই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। গ্রামবাসীরা কয়েকবার স্থানীয় লক্ষীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং পঞ্চায়েত সচিবকে লিখিত ভাবে এবং মৌখিক ভাবে জানানোর পর কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় কৈলাসহরের মহকুমাশাসক, গৌরনগর ব্লকের বিডিও এবং ঊনকোটি জেলার জেলাশাসককেও কয়েকবার লিখিত ভাবে জানানোর পরও দুই বছর ধরে কেউ কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় লক্ষীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ নং এবং ছয় নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা মঙ্গলবার কৈলাসহর-টিলাবাজার রাস্তাটি সকাল দশটা থেকে অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তাদের দাবি পূর্বে এই এলাকায় জল নিষ্কাশনের যে ব্যবস্থা ছিল তা বর্তমানে পুরোপুরি ভাবে বন্ধ। জল নিষ্কাশন বন্ধ থাকার ফলে এলাকার প্রায় তিন শতাধিক পরিবারের বাড়ি ঘরে জল ঢুকে পড়েছে। এমনকি অনেকের রান্নার চুলা জলের নিচে। প্রায় সাড়ে তিনশো কানি জায়গা জলের জন্য চাষের অযোগ্য হয়ে রয়েছে। বিগত দুই বছর ধরে এলাকাবাসীরা বারবার জেলাশাসক থেকে শুরু করে প্রশাসনের কার্যকর্তাদের লিখিতভাবে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য দাবি জানিয়েছেন। দুই বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত প্রশাসনের তরফ থেকে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়নি। যার ফলে বিগত দুই দিনের বৃষ্টিতে বর্তমানে এলাকার বাড়ি ঘরে জল ঢুকে গেছে। একপ্রকার বাধ্য হয়ে এলাকাবাসীরা লক্ষীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ ও ছয় নম্বর ওয়ার্ডের মানুষেরা নয়াপত্তন এলাকায় টিলাবাজার-কৈলাসহর সড়কে বড় বড় গাড়ির টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পথ অবরোধের ফলে রাস্তার দু’পাশে বিরাট সংখ্যায় যানবাহন আটকা পড়ে। অবরোধ চলাকালীন জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা ঊনকোটি জেলা পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ বদরুজ্জামান এবং সিপিআইএম নেতা কয়েস মিঞা বাড়ি থেকে শহরে আসার সময় অবরোধে আটকে পড়েন। এলাকাবাসীর এই সমস্যা জেনে তারাও অবরোধে সামিল হন এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

Road blockage at Kailashahar
Road blockage at Kailashahar

সকাল দশটা থেকে অবরোধ চললেও দুপুর দেড়টা নাগাদ অবরোধ স্থলে এসে উপস্থিত হন গৌরনগর ব্লকের এক্সটেনশন অফিসার বিজন চৌধুরী ও কৈলাসহর থানার পুলিশ বাহিনী। এক্সটেনশন অফিসার লিখিতভাবে জানান , আগামী পনের দিনের মধ্যে ড্রেনের কাজ শুরু হবে। এই আশ্বাস দেওয়ার পর অবরোধকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় বলে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহাম্মদ বদরুজ্জামান জানান। রাস্তা অবরোধ শেষে সংবাদ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি বদরুজ্জামান এও জানান যে, আগামী পনেরো দিনের মধ্যে যদি লক্ষীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ নং এবং ছয় নং ওয়ার্ড এলাকায় জল নিষ্কাশনের কাজ শুরু না হয় তাহলে গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে কৈলাসহরে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

 

ভুমিহীনদের জবরদস্তি উচ্ছেদ
Leave A Reply