Prevention of Minor Marriage

ঘটা করে বিয়ে বাড়িতে চলছিল অনুষ্ঠান। খাওয়া-দাওয়া চলছিল জমিয়ে। বিয়ে বলে কথা। ছেলের বাড়ির এবং মেয়ের বাড়ির সমস্ত আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতিতে বাড়ির উঠোন ভর্তি। সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে গোটা বাড়ি। হঠাৎ করে রাত সাড়ে দশটায় বিয়ে বাড়িতে ছুটে আসে বিশালগড় মহকুমা প্রশাসনের ডিসিএম প্রসেনজিৎ দাস বিশ্রামগঞ্জ থানার ওসি সুবিমল দেবনাথ সহ পুলিশবাহিনী এবং চাইল্ড লাইন কর্তৃপক্ষ। ঘটনা বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটায় বিশ্রামগঞ্জ থানার অন্তর্গত চেছুড়ি মাই গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুয়াছড়ি এলাকায়। বালুয়াছড়ি এলাকায় মতি ঘোষের ছেলে রাকেশ ঘোষের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় উদয়পুর এলাকার এক নাবালিকার। মেয়েটির বয়স ১৫ বছর। মেয়ের বাবা-মা অত্যন্ত গরিব। তাই মেয়েটিকে তুলে নিয়ে আসে ছেলের বাড়িতে। বৃহস্পতিবার ছিল বিয়ে। বৃহস্পতিবারই দুপুরবেলা চেছুড়ি মাই গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ এবং চাইল্ড লাইন কর্তৃপক্ষ ছেলের বাড়িকে সতর্ক করেছিল যাতে এ বিয়ে না হয়। কারণ মেয়েটি নাবালিকা। এরপরেও ছেলের বাড়ি প্রশাসনের কথা রাখেনি। শেষমেষ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটায় ডিসিএম প্রসেনজিৎ দাস বিশ্রামগঞ্জ থানার ওসি সুবিমল দেবনাথ এবং চাইল্ড লাইন কর্তৃপক্ষ ছেলের বাড়িতে হানা দেয়। প্রশাসন ছেলের বাড়িতে যাওয়ার আগেই মেয়ে এবং ছেলেকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলে পরিবারের লোকজন। যার ফলে বাধ্য হয়ে মহকুমা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন ফিরে আসে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন বিয়ে বাড়িতে দুইজন পুলিশ কর্মীকে সারা রাতের জন্য বসিয়ে দিয়ে আসে। যাতে করে কোনোভাবেই এই বিয়ে বাড়ির মন্ডপে নাবালিকার বিয়ে না হয়। বিয়ের রাতে বিয়ে বাড়িতে পুলিশ এবং মহকুমা প্রশাসনের প্রতিনিধিদের হানায় বন্ধ হয়ে যায় নাবালিকার বিয়ে।

Prevention of Minor Marriage
Prevention of Minor Marriage
Leave A Reply