Nabendu Bhattacharjee
বাম আমলে কংগ্রেসের বহু কর্মী এবং কংগ্রেস আমলে বামেদের বহু কর্মী অনায়াসে খুন হয়েছেন। সেই কথা কি ভুলে গেছেন তারা? বাম কংগ্রেসের আঁতাত এর ফলে কি ইতিহাস, অতীত সব কিছু ভুলে যাবেন ক্ষতি গ্রস্থরা?
বোধয় নয়। যারা আপনজন হারা হয়েছেন, তারা কখনোই বাম কংগ্রেসের এই আঁতাত মেনে নেবে না। আজকে নির্বাচনী লড়াইয়ে জিততে এবং বিজেপি শিবির কে হারানোর অভিলাষ পূর্ণ করতে গিয়ে বাম কংরেসীরা ইতিহাস ভুলে গেলেও অনেকেই আছেন যারা ইতিহাস ভুলবেন না। জোট জামানায় যাদের হত্যা হয়েছে সেই প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বললেই এখন তাদের মনে হয় বিজেপি শিবির তাদের ব্যাক্তিগত আক্রমণ করছে। কিন্তু কোনোভাবেই তা ব্যাক্তিগত নয়। রাজনৈতিক লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ড ব্যাক্তিগত হতে পারে না, তথ্য সমেত বাম কংগ্রেসের নেতৃত্ব দের বিজেপির বিরুদ্ধে “ব্যাক্তিগত আক্রমণ” এর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে এই কথাগুলো জানালেন আজ প্রদেশ বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে পূর্ব ত্রিপুরা আসনের বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে বেড়িয়ে এক জনসভায় অংশ গ্রহন করে পশ্চিম আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব বক্তৃতা রাখা কালীন বামফ্রন্টের প্রাক্তন সাংসদ ঝর্ণা দাস বৈদ্য কে উল্লেখ করে প্রশ্ন করেন জোট আমলে বিরোধী শিবিরের দুষ্কৃতিদের হাতে উনার স্বামীর খুনের ঘটনা কে কি উনি ভুলে গেছেন ? চিরকাল যাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন শেষে তাদের চিহ্নেই কি ভোট দেবেন ঝর্ণা দেবী?
এই ভিডিও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরতেই ঝর্ণা দাস বৈদ্য একটি সংবাদ মাধ্যম কে উনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জানান, রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে ব্যাক্তিগত আক্রমণ করাটা কোনোভাবেই গ্রহন যোগ্য নয়। বিপ্লব কুমার দেবের সেই উক্তির তীব্র প্রতিরোধ করেছিলেন ঝর্ণা দাস বৈদ্য।
সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেই ঝর্ণা দাস বৈদ্যের স্বামীর হত্যাকাণ্ডের তথ্য তুলে ধরলেন আজ নবেন্দু ভট্টাচার্য।
জোট আমলের ১৪ই অক্টোবর শ্রীদাম পাল হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন ঐ ঘটনার বিষয়ে এক দৈনিক পত্রিকায় লেখা হয়েছিল “শ্রীদাম পাল জনরোষের বলি”। তখন রাজ্যের জোট সরকার ছিল এবং আইন মন্ত্রী ছিলেন সমীর রঞ্জন বর্মণ। শ্রীদাম দাস এর হত্যাকাণ্ডে কি কংগ্রেসের নেতৃত্বদের ইন্ধন ছিল না? প্রশ্ন করলেন নবেন্দু ভট্টাচার্য। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সেই কংগ্রেসিদের সাথেই আঁতাত করে ভোটের লড়াইয়ে জিততে চাইছে তারা।
রাজ্যের মানুষ সেই আঁতাত কে মানবে না। তিনি বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টি সন্ত্রাসের রাজনীতি তে বিশ্বাস করে না। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর কোথাও কেউ রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বলি হননি। একটি খুনের ঘটনা ও ঘটে নি। বিরচন্দ্র মনু তে ঘটে যাওয়া খুন কাণ্ডে যারা দোষী আজ তাদের সাথেই আঁতাত করছে”।
দ্বিতীয় বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠার পর জিরানিয়ার কাছে দুশ্যন্ত নারায়ন পাল গনহত্যা কাণ্ডের ঘটনা তুলে ধরে নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন , বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় এই গণহত্যা কে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বামেদের বিক্ষোভ মিছিলের খবর ছড়িয়েছিল। যে বিরোধী শিবির আজ কের সময়ে দাঁড়িয়ে বারংবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এর শ্লোগান দিচ্ছে, তাদের আমলে গনতন্ত্রের কি চেহারা ছিল সেটাই তথ্য সমেত চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাইলেন এদিন নবেন্দু ভট্টাচার্য। বিরোধীদের “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এর লড়াই” কে একপ্রকার হেলায় ঠেলে দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ তাদের দাবী বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পরেই বাস্তবে দেশ ও রাজ্যের বুকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হ