Mirza CPIM Protest : স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করেছে বিজেপি সরকার। শাসক দলীয় বিধায়কের ভাইপো ও স্বদলীয় অন্য কিছু দুষ্কৃতী দ্বারা নিকৃষ্ট ভাবে হত্যা হল এক গৃহবধূ। এ যেন সভ্যতার যুগে চূড়ান্ত রকমের বর্বরতম ঘটনা। এই ঘটনা কোনোমতেই মেনে নেওয়া যায়না। তাই শাসকের বিরুদ্ধে এক রাশ ক্ষোভ উজাড় করে দিয়ে, রাজ্য প্রশাসন কে শাসক দলের কাছে মাথা নত করার অভিযোগ তুলে আগরতলা শহরে গর্জে উঠেছে বামেরা।
শনিবার ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার বুকে মেলার মাঠ স্থিত সিপিআইএম জেলা কার্যালয় থেকে বামপন্থী ছাত্র যুব সঙ্গথ, ভারতের ছাত্র ফেডারেশান ও নারী সমিতি যৌথ উদ্যোগে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এক সরব মিছিলের আহ্বান করে। মিছিলটি ভানু ঘোষ স্মৃতি ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ফায়ার সার্ভিস চৌমুহনী তে গিয়ে শেষ হয় এবং সেখানেই পুলিশের ব্যারিকেড তাদের কে আঁটকে দেয়।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ডিওয়াইএফআই এর রাজ্য সম্পাদক নবারুন দেব, সভাপতি পলাশ ভৌমিক, এসএফআই এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন দে , নারী সমিতির রাজ্য সম্পাদিকা স্বপ্না দত্ত, প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে, প্রাক্তন বাম বিধায়ক তথা সিপিাআইএম পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা সম্পাদক রতন দাস, বাম নেতা অমল চক্রবর্তী, প্রতাপগড় সিপিআইএম বিভাগীয় কমিটির সম্পাদক সমর চক্রবর্তী সহ এক ঝাঁক যুব ও মহিলা কর্মী সমর্থকেরা।
মূলত , উদয়পুর মহকুমাধীন মির্জা এলাকায় গৃহবধূ অঞ্জলী সরকার কে পুড়িয়ে মারার ঘটনা এবং শুক্রবার রাতে বুল ডোজার চালিয়ে সিপিআইএম এর পার্টি অফিস ভেঙ্গে দেবার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে পুলিশ হেড কোয়ার্টারে এক ডেপুটেশান দেবার উদ্দেশ্যেই এই মিছিল সংগঠিত করা হয়েছে এদিন।
মিছিল থেকে শাসক দল কে তুলোধোনা করেছেন প্রত্যেক বাম নেতৃত্ব। এ রাজ্যে নারীরা কতটা সুরক্ষিত আছেন, বারবার উঠছে সেই প্রশ্ন। এ রাজ্যে প্রায়শই নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটে চলেছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন সেখানে নিশ্চুপ। মানুষ কে নিরাপত্তা দিতে সর্বতোভাবে ব্যর্থ রাজ্য পুলিশ। মিছিল থেকে এদিন এমনই সুর চড়াতে শোনা গেছে নারী সমিতির সম্পাদিকা কে।
অন্যদিকে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক নবারুন দে বলেন, আগামী ২২শে সেপ্টেম্বর রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আসছেন। তিনি নাকি মায়ের মন্দিরে অঞ্জলী দেবেন। উনার আসার আগ মুহূর্তে সেই মহকুমা তেই আরেক অঞ্জলী পুড়িয়ে দাহ করা হল জ্যান্ত। তাও আবার শাসক দলেরই লোক। এ কেমন ঘটনা ? রাজ্যে শাসক বিজেপির আমলে নিরাপত্তা একেবারেই ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। ততসঙ্গে আইনের শাসন একেবারেই নিশ্বেস হয়ে গেছে। এর বিরুদ্ধে বামেরা গর্জে উঠছে, আগামী দিনেও গর্জে উঠবে। এই নিয়ে অতি দ্রুত যদি দোষীদের কে আইনের আওতায় এনে শাস্তি না দেওয়া হয় তবে আন্দোলন জারি রাখা হবে, এমনটাই দাবী করা হয়।
মিছিল টি এদিন ফায়ার সার্ভিস চৌমুহনী পৌছাতেই এক দল পুলিশ প্রশাসন তাদের কে আঁটকে দেয়। শীর্ষ সারি তে থাকা নারী নেত্রীদের সাথে মহিলা পুলিশের বেশ কিছুক্ষণ ধস্তা ধস্তি ও হয়। অবশেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর ৫ জনের এক প্রতিনিধি দল পুলিশ হেড কোয়ার্টারে গিয়ে তাদের আলোচনা রাখেন।