র্যটন ক্ষেত্র কে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সার্বিক সহযোগিতা চাইলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী
ভারতের দ্বিতীয় সর্ব বৃহৎ জল মহল অবস্থিত ত্রিপুরায়। আজো অনেকের কাছেই হয়তো তা অজানা। মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুর রুদ্র সাগরের বুকে উনার এবং রানীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও আমদ প্রমোদের জন্যে এই জল মহল নির্মাণ করেছিলেন। এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৩০ সালে এবং তা শেষ হয় ১৯৩৮ সালে অর্থাৎ প্রায় ৮ বছর পর। পরবর্তী সময় দেশ বিভাজনের পর ত্রিপুরা যখন পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা লাভ করে এবং কেন্দ্র সরকারের হাতে রাজন্য শাসন হস্তান্তরিত হয় তখন থেকেই নীর মহল কে পর্যটন কেন্দ্র রূপে আখ্যায়িত করে দেওয়া হয়। যার পর থেকে এই পর্যটন কেন্দ্রে বাড়তে থাকে জনসমাগম। পূর্বতন বাম সরকার থাকাকালীনই এই মহলে পর্যটকদের যাতায়াতের উদ্দেশ্যে ঘাট নির্মাণ, বোট তথা জলযান পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। বর্তমান বিজেপি সরকার আসার পর এই পর্যটন কেন্দ্র কে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করার আরও জোরালো প্রচেষ্টা চলছে।
অনেকেই অবগত রয়েছেন যে ভারতের সর্ববৃহৎ ও প্রসিদ্ধ জল মহল জয়পুরে অবস্থিত। সেই জয়পুরের জলমহল যেখানে বিশ্বে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে, সেখানে আমাদের ত্রিপুরা রাজ্যের নীরমহল কেন প্রসিদ্ধ না?
তবে সে ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যেটা করছে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার, শনিবার মেলাঘর রুদ্র সাগরের পারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমনটাই দাবী করেছেন পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয় করে নির্মিত রুদ্র সাগরে নির্মিত হয়েছে ট্যুরিজম ফ্যাসিলিটি সেন্টার। তার সাথে Newly created tourism infrastructure তৈরি হয়েছে যার শুভ উদ্বোধন হয় এদিন মন্ত্রীর হাট ধরে। এই প্রজেক্ট উদ্বোধন করেই কথাগুলি বলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
এদিন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে সাজিয়ে তোলার জন্য যে সার্বিক প্রচেষ্টা করছে রাজ্য সরকার তা তুলে ধরেন তিনি। কিন্তু এর পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে সেগুলিকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কেবলমাত্র সরকারের উপরেই ন্যস্ত নয়। প্রতিটি রাজ্যবাসীর একান্ত কর্তব্য নিজেদের এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে সেই সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে আগলে রাখা ও তাদের যত্ন নেওয়া। যে সকল প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে বা গড়ে উঠছে সেগুলিকে অক্ষত রাখার চেষ্টা করতে হবে তাদের কেও। তবেই সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হবে। এছাড়াও আগামী দিনে কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যটন দপ্তর থেকে রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর আরো সৌন্দর্যায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কি কি প্রকল্প বাস্তবায়িত করা যায় সে বিষয়েও রূপরেখা তৈরি করে পাঠানো হয়েছে অনুমোদনের জন্য । তাই আগামী দিনেও আরো উন্নতি সাধন হবে রাজ্যের প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্র। এছাড়া ইতিমধ্যেই সৌরভ গাঙ্গুলি কে ত্রিপুরা পর্যটন শিল্পের ব্র্যান্ড এম্বাসেডর করা হয়েছে। তার মাধ্যমে ও ব্যাপক হারে ত্রিপুরা পর্যটনের নাম ও খ্যাতি ছড়িয়েছে।