Manik Dey CITU : বামেদের অঙ্গ সংগঠন সিআইটিইউর সুবিশাল জন সমাবেশ দেখে ভীত সন্ত্রস্ত রাজ্য বিজেপি। তারই প্রমাণ মিলেছে সমাবেশের পরক্ষন থেকেই। সিটুর সমাবেশে যোগ দেবার অপরাধে নানা বিধ মামলায় বহু বাম কর্মীদের গ্রেফতার করানো হচ্ছে পুলিশ দিয়ে।
উল্লেখ্য, গত ১০ই নভেম্বর আগরতলা ওরিয়েন্ট চৌমুহনী তে বামপন্থী শ্রমজীবী সংগঠন সিআইটিইউর সুবিশাল জনসমাবেশ এর আয়োজন করা হয়। রাজ্যের কোণা কোণা থেকে সমাবেশে অংশ নিতে ছুটে আসেন শ্রমজীবী, খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ। যারা বিজেপি সরকারের ৭ বছরের শাসন পরিচালন দেখেছেন এবং নিজেদের পাওয়া না পাওয়ার হিসেব মিলিয়েই তারা বামপন্থী দের আলোচনা শুনতে এসেছেন।
অভিযোগ এদিন সকাল থেকেই দূর দুরান্ত থেকে আগন্তুক দের নানা ভাবে আঁটকে দেবার প্রচেষ্টা চালায় রাষ্ট্র বাদী দলের একাংশ দুর্বৃত্ত। চাক্কা জ্যাম করে দেওয়া হয়। তার পরেও বিশাল সংখ্যক মানুষ এদিনের সমাবেশে অংশ নেন। সংখ্যাটা আনুমানিক ২৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছিলো বলেই দাবী করেছেন সিটু নেতা মানিক দে।
অতঃপর এদিনের মিছিল ও সমাবেশ দেখে এক প্রকার আতঙ্কিত হয়ে পরে রাজ্য বিজেপি। আর সেই থেকেই সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া একাংশের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করিয়ে তাদের কে হাজতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে সাংবাদিক বৈঠক করে সিটু নেতা মানিক দে জানান , ক্যাম্পের বাজার থেকে সমাবেশের পর দিনই ২ জন কে গ্রেফতার করানো হয়েছে পুলিশ দিয়ে। তাদের নাম প্রনব দাস ও উত্তম দেব । এখনো তারা জামিন পান নি।
এছাড়াও ডুকলি এলাকা থেকে এডি নগর থানার পুলিশ দিয়ে বিশ্বজিত দাস, সুজিত ঋষি দাস নামে আরও দুজন কে গ্রেফতার করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের কোর্টে প্রেরন করা হলে তাদের কে রিমান্ড দিয়ে জেলে পাঠানো হয়। কি কারণে গ্রেফতার ? জানা নেই ।
রাজ্যে নেশার রমরমা বানিজ্য চলছে সেই নিয়ে কোনো তদন্ত নেই। গ্রেফতার নেই। হত্যা, ছিন্তাই, চুরি, প্রতারণার মতো অপরাধের তদন্ত করে না পুলিশ। এদিকে মিথ্যে মামলার দায়ে যাকে তাকে জেলে পুড়ে দিতে মরিয়া তারা। সব কিছুর পেছনেই রাজনীতি।
এছাড়াও গতকাল রানির বাজার এলাকায় এক মেডিসিন এর দোকান ভাংচুর করার খবর উঠে এসেছে। কারণ দোকান মালিকের স্ত্রী সেদিন এর সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। এছাড়াও ব্রজনগর – সুভাষ দেবনাথ এর বাড়িতে আক্রমণ করে দুর্বৃত্ত বাহিনী। খবর দিলেও পুলিশ অনেক পরে যায় । সুভাষ বাবুর ছোট ছেলে আক্রান্ত হয়। গৌতম দেবনাথ নামক অপর ব্যক্তির বাড়িতে ঢিল ছুড়া হয়।
রাজ্য ব্যাপী বিক্ষিপ্ত ভাবে এধরণের ঘটনাবলী ঘটে। কারণ একটাই, সেদিন এর সমাবেশে তারা যোগ দিয়েছিলেন। এটা বিজেপির ভয় নয় তো কি ? প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী বাম শিবির। এমন করে কি মানুষ এর মতামত বদল করা যাবে ? মানুষ আগামী দিনে কি সন্ত্রাসের আতঙ্কে বিজেপি কে ভোট দেবে ? নাকি বিজেপির অপশাসন এর জবাব দেবে ভোট বাক্সের মধ্যে দিয়ে ? এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সেদিকেই তাকিয়ে আছে বিরোধী শিবির।



