Khumlwng allience relly
জনসভায় জনগণের উপস্থিতির হার অনেকাংশেই জানান দিয়ে যায় কি হতে পারে ভোটের ফলাফল। এমনটাই বিশ্বাস করে বিজেপি শিবির। আর সেই জোরেই বিধানসভা হোক কিংবা লোকসভা সর্বক্ষেত্রেই রেলি কিংবা সভায় উপস্থিত শ্রোতাদের অঙ্ক গণনা করেই বলে দিতে পারেন জয় নিশ্চিত নাকি অনিশ্চিত। সেই দিক থেকে বলতে গেলে বিরোধী শিবিরের বর্ণাঢ্য রেলি তে ও ভোটের আবহে দেখা যায় উপচে পরা ভিড়। কিন্তু ফলাফলে তার প্রভাব ঠিক আশানুরূপ পড়ে বলে শাসক শিবির বিশ্বাস করতে নারাজ। আর এভাবেই বিগত দুটি লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা এবং কেন্দ্রে নিজের জায়গাতেই বসে আছে বিজেপি।
রাজ্যের পাহাড়ি জনজাতিদের ভোট ত্রিপুরার নির্বাচনে একটা বিশাল প্রভাব বিস্তার করে। বাম আমলে পাহাড়ের আসন গুলিতে অনায়াসেই জয় লাভ করতো বামেরা। কিন্তু ২০১৮ সালের পরিবর্তনের হাওয়ায় সেই জয়ের সম্ভাবনা ম্লান হয়ে আসে। এরপর থেকে তিপ্রাসাদের থান্সা এবং তিপ্রা ল্যান্ডের এক চেটিয়া দাবী নিয়ে প্রথমে আইপিএফটি এবং পড়ে তিপ্রা মথা দল গঠিত হয়। আইপিএফটি বিজেপির সাথে জোট হবার পর তিপ্রাসাদের তিপ্রা ল্যান্ডের দাবী শুধু দাবীই থেকে যায়। পরবর্তী সময় ২০২২ এর শেষের দিকে মাথা চারা দিয়ে উঠে মহারাজার নেতৃত্বে তিপ্রা মথা দল। যাদের এজেন্ডা ছিল “গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড” এবং “থান্সা”। ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে তিপ্রাসাদের ব্যাপক সংখ্যক সমর্থন নিয়ে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের খেতাব জেতার পর ২০২৪ এর নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তেই আবারো আইপিএফটির মতোই বিজেপি তে মিশে গেল মথা।
এখন সেই মথা দলীয় নেত্রিত্ব এবং অনুগামী সকলেই জয়গান করছেন বিজেপির। যে বিজেপির সাথে দ্বন্ধে শামিল হয়েছিল মহারাজার তিপ্রা মথা এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল , যা কিছুই হয়ে যাক মথা বিজেপির জোট হবে না। তিনিই অবশেষে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি পত্র সই করে বিজেপির রণনীতি তে চাপা পড়ে গেলেন। এখন তিপ্রাসাদের মুখে শুধুই বিজেপির জয়গান।
ত্রিপুরার তপশিলি জাতিদের অঞ্চল তথা খুম্লুং এ সোমবার বিজেপি দলীয় প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে আয়োজিত রেলি যার নাম দেওয়া হয় “থানসা রেলি” তাতে অংশ গ্রহন করতে দেখা গেল হাজার হাজার তিপ্রাসাদের। রেলি তে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মাণিক সাহা, বিজেপি পশ্চিম আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব, প্রদ্যুত কিশোর মানিক্য সহ একাধিক নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।
উনাদের বক্তব্যে বারংবার উঠে আসে বাম আমলে ত্রিপুরার তিপ্রাসাদের জীবন এর ইতিহাস। বাম এবং কংগ্রেস এরা উভয়েই তিপ্রাসাদের সাথে অন্যায় করেছে এবং তিপ্রাসাদের উন্নয়নে কোনো কাজ করেনি। বাম আমলে একের পর এক খুন কাণ্ড ঘটেছে রাজ্যে। সেই সব কিছুই সময়ের সাথে চাপা পড়ে গেছে। হয়নি তদন্ত। হয়নি অপরাধীদের সাজা। বর্তমান মোদী সরকার ও রাজ্য বিজেপি মিলে রাজ্যের তিপ্রাসাদের উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। জল , বিদ্যুৎ, শিক্ষা সব দিক থেকেই তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের ব্যাবস্থা করা হচ্ছে বলেই দাবী রাখেন নেত্রিত্ব রা। বিরোধী ইন্ডিয়া জোট মঞ্চ আসন্ন নির্বাচনে জামানত জব্দ হবে এবং দেশের মানুষ পুনরায় মোদী সরকার কে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনবে বলে এদিন দৃঢ় বিশ্বাস প্রকাশ করেছেন প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব।