Jatrapur News : চলতি মৌসুমে আবারও গাঁজা চাষ প্রতিরোধে সক্রিয় হল যাত্রাপুর থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরে ভিত্তি করে কালিখলা এ.ডি.সি. ভিলেজ এলাকার উত্তরাংশের বনাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে সাতটি গাঁজার নার্সারি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছে পুলিশ।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন যাত্রাপুর থানার সিনিয়র সাব-ইন্সপেক্টর অমর কিশোর দেববর্মা ও প্রীতম দত্ত। তারা জানান, ধ্বংস করা নার্সারিগুলিতে হাজার হাজার গাঁজার চারা ছিল। অভিযানে তাদের সঙ্গে ছিলেন টিএসআর ও এস.ইউ.ও বাহিনীর সদস্যসহ মোট দশজন স্টাফ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাঠালিয়া-থলি বাড়ি সড়ক থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার অভ্যন্তরে, কালীখলার কৃষি মাঠ অতিক্রম করে গোপন স্থানে এই নার্সারিগুলোর অবস্থান ছিল। সকালে ৯টার দিকে শুরু হওয়া অভিযানে একে একে নার্সারিগুলো বীট লাঠি দিয়ে নষ্ট করা হয়।
সাব-ইন্সপেক্টর প্রীতম দত্ত বলেন, “এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই এলাকায় মাদক উৎপাদন ও সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হোক।”
তবে এখনো নার্সারিগুলোর প্রকৃত মালিক বা গাঁজা চাষের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত করা যায়নি। স্থানীয় সূত্রে অনুমান করা হচ্ছে, বিগত বছরের মতো এবারও চাষ শুরুর আগেই নার্সারি ধ্বংসের মাধ্যমে পুলিশ সক্রিয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, যাত্রাপুর থানার নতুন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এখনও নিযুক্ত না হলেও, চারজন সাব-ইন্সপেক্টরের যৌথ নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং মাদকবিরোধী অভিযানে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ত্রিপুরা, এক সময়ের শান্তিপূর্ণ পাহাড়ি রাজ্য — আজ মাদক, গাঁজা ও ইয়াবা ট্যাবলেটের ভয়ংকর থাবায় জর্জরিত।
প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে কিশোর ও তরুণ প্রজন্মের মাদকাসক্তির চিত্র। স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছেলেমেয়েরা আজ নেশার ফাঁদে বন্দি।
প্রশাসনের অভিযানে ধরা পড়ছে হাজার হাজার গাঁজার চারা, ইয়াবা ও ব্রাউন সুগার। তবুও, প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে— মূল উৎসকে রোধ করা যাচ্ছে কি?
সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে পাচার, দারিদ্র্য, এবং বেকারত্ব— এই তিনটি কারণ মিলেই তৈরি করছে ভয়ংকর এক মাদকচক্র।
পুলিশ, TSR ও প্রশাসনের যৌথ অভিযানে বহুবার গাঁজার নার্সারি ধ্বংস হলেও মূল হোতারা রয়ে যাচ্ছে অধরাই।