Indian railways: বন্দে ভারত ট্রেন নিয়ে মোদী সরকারের সফলতার উচ্ছ্বাস, ইতিহাস জানেন কি জনগণ?

Khabare Pratibad
3 Min Read

Indian railways

Indian railways
১০ বছরের মোদী শাসিত ভারতে উন্নয়নের ধারা বয়ে গেছে বলে দাবী করছে আরএসএস পরিচালিত বিজেপি তথা মোদী সরকার। দেশের অধিকাংশ মানুষের জানি জীবিকা হয়েছে, আর্থিক আয় উন্নতি হয়েছে। যদিও বছরে ২ কোটি চাকরি দেবার প্রতিশ্রুতির আর কোনো দেখা নেই। তবুও ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রচার করছেন যে দেশে উন্নয়ন হয়েছে। কিছু সংখ্যক পথ ঘাট কে নতুন ভাবে সংস্করণ করে, বিমানবন্দর কিংবা রেল স্টেশন গুলিকে মডার্ন রূপ দিলেই কি একটা দেশের সার্বিক উন্নয়ন হতে পারে ?
বিচার্য বিষয়।

ইদানিং বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে জোর চর্চা চলছে দেশ জুড়ে। বহু যাত্রী গুণগান করেছেন এই এক্সপ্রেসের। মোদী জি কে অগণিত ধন্যবাদ জানাচ্ছেন তারা। বাহিরের চাকচিক্য দেখে দর্শকদের বক্তব্য বিগত কংগ্রেস আমলে যা কিছু হয়নি সবই করে দেখিয়েছে বিজেপি সরকার। এবার তবে চাকচিক্যের পর্দা সরিয়ে বাস্তবের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাক।

ভারতীয় রেল দ্বারা পরিচালিত নিকট পাল্লার সেমি হাই স্পীড ট্রেন পরিষেবা প্রদান করতে বন্দে ভারতের নির্মাণ। এটি মূলত শতাব্দি এক্সপ্রেসের একটি উন্নত ভারশান বললে ভুল হবে না। নিকট পাল্লার দুরত্ব অতিক্রম করতে অর্থাৎ যে সমস্ত রাজ্য গুলোর মধ্যে পৌছাতে ১ দিনের ও বেশি সময় লাগে সেখানে এই ট্রেন এর মাধ্যমে যাতায়াত এর সময় স্থূল করতে শতাব্দি এক্সপ্রেস তৈরি হয় ১৯৮৮ সালে। তৎকালে ভারতে দ্বিতীয় রাজীব গান্ধীর সরকার ছিল। তৎকালে রেল মন্ত্রী ছিলেন মাধব রাও সিন্দে অর্থাৎ বর্তমান এভিয়েশান মিনিস্টার জ্যোতিরাদিত্য সিন্দের পিতা। কংগ্রেস পরিচালিত ভারতেই এই রেল পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছিল।
সময়ুপযোগী এবং যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কিছু নতুন সংস্করণ করে বন্দে ভারত কে দেশের সবচাইতে দ্রুত তম রেল এর আখ্যা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান ভারতের যুব সমাজের কাছে বন্দে ভারত একটি আকর্ষণীয় বিষয়। যা কংগ্রেস শাসিত ভারতে শতাব্দি এক্সপ্রেসের জন্যে তৎকালীন যাত্রীরা অনুভব করেছে। নিঃসন্দেহে বন্দে ভারত এর মধ্যে যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে তা প্রশংসনীয়। তবে একমাত্র মোদী সরকারের আমলেই যে ভারতের রেল পরিষেবার বিস্তার কিংবা উন্নয়ন ঘটেছে তা বলা সম্পূর্ণ অর্থে ঠিক নয়।
দেশে রেল পরিষেবার বিস্তার কংগ্রেস শাসণ কালেই ঘটে গেছে। তাছাড়া যে কোনো রেল এর গতি ১৬০কিমি/ঘন্টা হিসেবে নির্ধারিত থাকে। সেখত্রে কোন রুটে কোন ট্রেন কত গতিতে চলবে সেটা নির্ধারণের দায়িত্ব এবং ক্ষমতা সম্পূর্ণ ভাবে রেল দপ্তরের টেকনিক্যাল ডিপার্টমেন্টের হাতে। সুতরাং , বন্দে ভারত এর গতি নিয়ে যদি বড়াই করা হয় সেখত্রে বোঝা উচিৎ যে এই রেল টি এমন একটি রুট এর জন্যে নির্ধারিত করা হয়েছে যেখানে যে কোনো ট্রেন তার সর্বোচ্চ গতিতে চলমানের ক্ষমতা রাখে।
সুতরাং, ভারত বর্ষে বন্দে ভারত ট্রেন টিই যে প্রথম সেমি হাই স্পীড সম্পন্ন ট্রেন সেটা ভাবার কোনো কারণ নেই। মোদী সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজ গুলো অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। তবে এক্ষেত্রে জনগণের মাঝে প্রচারিত হওয়া বিভান্তি কিংবা ভুল ধারণা গুলোর বিস্তার না ঘটাই শ্রেয়।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *