Indian Election Commission : গত কয়েক বছরে দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ঘিরে একের পর এক প্রশ্ন উঠেছে। ভোটার তালিকা থেকে শুরু করে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট সব কিছু নিয়েই অভিযোগ। কখনও অস্বচ্ছ ভোটার তালিকা, কখনও হঠাৎ ভোটের হারে অস্বাভাবিক উত্থান, আবার কখনও ইভিএম ব্যবহারের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক—সবকিছু মিলিয়েই নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা বারবার আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। অবশেষে সমালোচনার জবাব দিতে এবং নির্বাচনকে আরও স্বচ্ছ করে তুলতে বড় পদক্ষেপ নিল কমিশন।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, গত ছ’মাস ধরে দেশজুড়ে রাজনৈতিক দল, সংশ্লিষ্ট আধিকারিক এবং অন্যান্য অংশীদারদের নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে ভোটপ্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের পথ খোঁজা হয়েছে। এর ফলস্বরূপ ২৮ দফা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য—ভোটার তালিকা শুদ্ধিকরণ, প্রক্রিয়াকে সহজীকরণ এবং প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করে নির্বাচনকে জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা।
কমিশনের হিসাব বলছে, এ পর্যন্ত জাতীয় ও আঞ্চলিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রায় ৪,৭১৯টি বৈঠক হয়েছে। শুধু মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকরাই করেছেন অন্তত ৪০টি বৈঠক। রাজ্য থেকে জেলা স্তর পর্যন্ত বিস্তৃত এই আলোচনায় রাজনৈতিক নেতানেত্রীদেরও সরাসরি যুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে—অচল বা অস্বীকৃত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল, মাঠপর্যায়ে কাজ করা বিএলও-দের সচিত্র পরিচয়পত্র প্রদান, নিয়মিতভাবে ইভিএমের মাইক্রোকন্ট্রোলার পরীক্ষা, বিদেশি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়, একটি বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে ভোট সংক্রান্ত অভিযোগ সমাধান, প্রতিটি কেন্দ্রে ওয়েবকাস্টিং নিশ্চিত করা এবং রিয়েল-টাইমে ভোটের হারের আপডেট দেওয়া।
এরই মধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হয়েছে। বাকিগুলি দ্রুত কার্যকর করার পরিকল্পনা চলছে। নির্বাচন কমিশনের দাবি, এই পরিবর্তনগুলি কার্যকর হলে ভোট প্রক্রিয়া হবে আরও স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য, যা আগামী দিনে গণতন্ত্রকে আরও শক্ত ভিত্তি দেবে।