Home voting started in West Tripura
আজ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহন প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন নির্বাচন আধিকারিকেরা। বয়স্ক এবং শারীরিক ভাবে অক্ষম ব্যাক্তিদের তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ব্যালট পেপারে ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে প্রতিটি নির্বাচনেই। বুধবার ব্যালটের মধ্যে দিয়ে ভোগ গ্রহন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ত্রিপুরায় লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ
লোকসভার দিন ক্ষণ ঘোষণা হয়েছে মার্চ মাসে। গোটা দেশ ব্যাপি মোট ৭ দফায় সম্পন্ন হবে ভোট গ্রহন প্রক্রিয়া। তার মধ্যে ত্রিপুরায় দুটি দফায় হবে ভোট গ্রহন। যেহেতু ত্রিপুরায় দুটি আসন রয়েছে, সেই দিক থেকে নির্ধারিত করা হয়েছে দুটি দিন। প্রথম পর্যায়ের ভোট হতে চলেছে চলতি মাসের ১৯ তারিখ অর্থাৎ ১৯শে এপ্রিল। এদিন থেকেই গোটা দেশ জুড়ে বেজে যাবে ভোটের ডঙ্কা। এদিন ত্রিপুরার পাশাপাশি দেশের বেশ অনেকগুলি রাজ্যেই হবে নির্বাচন।
অপরদিকে ২৬শে এপ্রিল হবে পূর্ব ত্রিপুরা আসনের লোকসভা নির্বাচন। উল্লেখ্য, পূর্ব ত্রিপুরা আসন টি রাজ্যের জনজাতি তথা তপশিলি জাতি ভুক্তদের জন্যে নির্দিষ্ট করা আসন। যেখানে বিজেপির প্রার্থী রূপে মনোনীত হয়েছেন তিপ্রা মথা দলের সুপ্রিমো প্রদ্যুত কিশোর মানিক্য দেব্বরমার দিদি কৃতি সিং দেব্বরমা এবং উনার বিপরীতে লড়াই করবেন ইন্ডিয়া জোট সমর্থিত প্রার্থী রাজেন্দ্র রিয়াং যিনি মূলত একজন বামপন্থী। এদিকে পশ্চিম আসনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এবং বিপরীতে কংগ্রেস এর ইন্ডিয়া জোট সমর্থিত প্রার্থী আশিস কুমার সাহা।
দুই কেন্দ্রেই চলবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
ব্যালট ভোট গ্রহন প্রক্রিয়া
প্রত্যেক বিধানসভা , লোকসভা, গ্রাম পঞ্চায়েত , পুরো নির্বাচন এর প্রতিটি পর্যায়ে কিছু সংখ্যক ভোটারদের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের কাছ থেকে ভোট গ্রহন করা হয়ে থাকে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাড়াতে অক্ষম বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যাক্তি তথা দিব্যাঙ্গ দের জন্যেও এই ব্যাবস্থা চালু করা হয়েছে।সঙ্গে অবশ্যই যারা সরকারি কর্মচারী রয়েছেন তারাও এই প্রক্রিয়াতেই ভোট দিয়ে থাকেন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত আধিকারিকদের মাধ্যমে এই ব্যালট ভোট সম্পাদনের ব্যাবস্থা করা হয়ে থাকে।
২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে ব্যালট ভোট প্রক্রিয়া শুরু
২০২৪ সালের নির্বাচন স্বাভাবিক অর্থেই প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছে একটি বড় মাপের চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে ভোট একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের উপর বাড়তি চাপ দিয়েছে বিরোধী শিবির। তাছাড়া এবারের লড়াই গণতন্ত্র রক্ষা এবং দেশের উন্নয়নের মধ্যবর্তী লড়াই। যেখানে দুই পক্ষই বর্তমানে ৫০/৫০ অবস্থানে দাঁড়িয়ে। তাছাড়া এই ব্যালট ভোট যে কোনো রাজনৈতিক দলের ভোট মার্জিনে একটি বিশাল গুরুত্ব পালন করে থাকে। সেইদিক থেকে ব্যালট ভোট সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে কিনা তা সুনিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজনীয় বিষয়।
১০ই এপ্রিল থেকে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ব্যালটে ভোট গ্রহন শুরু হয়েছে। ভোট গ্রহন কালে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসক বিশাল কুমার নিজেও ভোটারদের বাড়ি তে ভোট প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না তা সুনিশ্চিত করতে যান। সঙ্গে ছিল বিশাল মাত্রায় পুলিশ ও আরক্ষা বাহিনী। এ বিষয়ে আধিকারিক রা জানিয়েছেন ৮৫ ঊর্ধ্ব বয়স্কা দের জন্যে এবং শারীরিক ভাবে অক্ষম, দিব্যাঙ্গ জনদের এবং সরকারি কর্মীদের মধ্যে এই প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। পশ্চিম ত্রিপুরায় ৪৫৮১ জন হোম ভোটার দের ১০ ও ১২ এপ্রিল এবং পূর্ব ত্রিপুরায় ৪৭২০ জন হোম ভোটারদের ১৭ ও ১৮ এপ্রিল ব্যালট এ ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।