Haribol Bishwas brutally murdered by son
সামাজিক অবক্ষয়ের এক নিদারুণ মর্মান্তিক ঘটনা সংগঠিত হলো লেফুঙা থানাধীন দমদমিয়ার ১নং টিলায়। ধর্মের এবং রক্তের সম্পর্কের কাছে হার মানতে হলো হতদরিদ্র হরিবল বিশ্বাস কে। পরিবারে নিজের ছেলে ও ধর্মপত্নি পিটিয়ে খুন করলো গৃহকর্তা হরিবল বিশ্বাসকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন লেফুঙা থানা ও লেম্বুছড়া ফাঁড়ির আরক্ষা কর্মীরা এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। হরিবল বিশ্বাসের বৃদ্ধ পিতা অনাথ বিশ্বাস এবং ভাই অভিযোগ করেন স্ত্রী কল্পনা বিশ্বাস ও ছেলে সুমন বিশ্বাস এই দুইজন মিলে খুন করেছে হরিবল বিশ্বাসকে। ছেলে সুমন বিশ্বাস বাইকের তেল কিনতে বাবা হরিবল বিশ্বাসের কাছে টাকা চায়। হরিবল বিশ্বাস ছেলেকে জানায় আজকের হাজিরার টাকা বাজার করার পর শেষ হয়ে গেছে তাই তার কাছে অবশিষ্ট কিছুই নেই। তাই তিনি টাকা দিতে অপারগ। তখনই ছেলে উগ্র হয়ে যায় এবং পিতার সাথে ঝগড়া শুরু করে দেয়। পিতা পুত্রের তর্কযুদ্ধ শেষ পর্যন্ত মারমুখী যুদ্ধে পরিণত হয়। তখন রাত সাড়ে নয়টা বাজে। পাশে থাকা হরিবল বিশ্বাসের ছোট ভাই এসে ঝগড়া থামিয়ে দিয়ে যায়। তারপর খুব সম্ভবত রাতের বেলায় হরিবল বিশ্বাসকে তার স্ত্রী এবং পুত্র মেরে ফেলে ঘর তালা দিয়ে চলে যায়। ১৬ মে তথা বৃহস্পতিবার সকালে পাড়ার লোকেদের নজর আসে বাড়ির উঠোনে হরিবোল বিশ্বাসের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। ১৫ তারিখ রাত্রে খুন হওয়া হরিবল বিশ্বাসের খুনি তথা তার স্ত্রী ও ছেলে পালিয়ে বিশালগড় চলে যায়।এদিন বিশালগড় থেকে মা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করে আনা হয়। লেফুঙ্গা থানার আধিকারিক সহদেব দাস জানান হরিবল বিশ্বাসের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। শুক্রবার তাদেরকে কোর্টে ফরোয়ার্ড করা হবে। অনাথ বিশ্বাস হরিবল বিশ্বাসের পিতা সাফ জানায় বাইক কেনার টাকা এবং তেলের টাকা নিয়েই পিতা পুত্রের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকতো। এই মর্মান্তিক লোমহর্ষক ঘটনায় এলাকায় যেমন শোকের আবহাওয়া তৈরি হয়েছে ঠিক তেমনি রক্তের এবং ধর্মের সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাস এবং ভালবাসায় প্রশ্ন চিহ্ন উকি দিচ্ছে।