Hari Hara Veera Mallu Movie Review Bengali : দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও একাধিক বিলম্বের পর, অবশেষে মুক্তি পেল পবন কল্যাণ অভিনীত ঐতিহাসিক অ্যাকশন ড্রামা ‘হরি হারা বীর মাল্লু: পর্ব ১ – সোর্ড বনাম স্পিরিট’। বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত সিনেমাগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত এই ছবিটি, মুক্তির আগেই তীব্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছে ১৬৫০-এর দশকের পটভূমিতে, যেখানে বীর মাল্লু নামে এক দুর্ধর্ষ চরিত্রের অভিযানের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। একাধারে রাজকীয় গুপ্তমিশন, কোহ-ই-নূর হীরার সন্ধান, এবং আওরঙ্গজেবের সঙ্গে অতীতের জটিল সম্পর্ক—সব মিলিয়ে গল্পে রয়েছে দুঃসাহসিকতা ও রহস্যের মিশ্রণ।

অভিনয়ে পবন কল্যাণের জাঁকজমকপূর্ণ প্রত্যাবর্তন
পবন কল্যাণ চরিত্রে অনবদ্য। অ্যাকশন ও আবেগ—দুয়েই তাঁর পারফরম্যান্স ছিল চমকপ্রদ। দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যায় ধর্ম ও ন্যায়বোধ নিয়ে তাঁর সংলাপ। বিশেষ করে অ্যাকশন দৃশ্যে তাঁর উপস্থিতি আলাদা মাত্রা যোগ করেছে।
ছবির অ্যাকশন কোরিওগ্রাফি প্রশংসাযোগ্য। মছলিপত্তনম বন্দরের সংঘর্ষ, চারমিনার যুদ্ধ ও কোল্লুরের কুস্তির দৃশ্যগুলো নিঃসন্দেহে প্রথমার্ধের হাইলাইট। দ্বিতীয়ার্ধে মুঘল-শাসিত গ্রামে সংঘর্ষের একটি পর্ব দর্শকদের মুগ্ধ করে।
তবে, ছবির গ্রাফিক্স ও ভিজ্যুয়াল এফেক্ট নিয়ে অসন্তুষ্টি দেখা গেছে। বিশেষ করে পাহাড়ি লড়াই ও কয়েকটি যুদ্ধের দৃশ্য দুর্বল CGI-র কারণে আকর্ষণ হারিয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয়ার্ধে গতি হ্রাস এবং কিছু চরিত্রের অপ্রতুল বিকাশ ছবির সাসপেন্স বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।

নিধি আগরওয়াল ও সত্যরাজের মতো অভিনেতারা যথার্থভাবে তাঁদের ভূমিকা পালন করলেও স্ক্রিপ্টে তাঁদের সুযোগ সীমিত। ববি দেওলের মতো অভিনেতার ব্যবহারও ছিল সংক্ষিপ্ত, যার ফলে মূল খলনায়ক ও নায়কের মধ্যে প্রত্যাশিত টানাপোড়েন তৈরি হয়নি। তবে কিরাভানির আবহসঙ্গীত ছবির আবেগ ধরে রেখেছে।
পরিচালক কৃষ জাগারলামুদি তাঁর ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ফুটিয়ে তুলেছেন, যদিও গল্পের কাঠামো আরও মজবুত হতে পারত। ছবিটি একটি নাটকীয় ক্লিফহ্যাংগারে শেষ হয়েছে, যা পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য আগ্রহ বাড়িয়ে তোলে।
রেটিং: ⭐⭐⭐⭐☆ (৪/৫)
যদিও কিছু ত্রুটি চোখে পড়ে, ‘হরি হারা বীর মাল্লু’ তবুও একটি দর্শনীয় প্রেক্ষাগৃহ অভিজ্ঞতা। যারা পিরিয়ড ফিল্ম এবং পবন কল্যাণের ভক্ত, তাদের জন্য এই ছবিটি একেবারে উপযুক্ত। সিক্যুয়েলের প্রতীক্ষা এখন আরও বাড়ল।