Farmer cries in song
জীবন বাঁচাতে সরকারের কাছে কৃষকদের
আর্তনাদ প্রকাশিত গানের সুরে
সাদাসিধে ভাষা সরকার আর বুঝলো কই ? তাই ছন্দে ছন্দ মিলিয়ে গানের সুরে কৃষক নিজের কষ্টের কথা শোনালেন।
জীবন বাঁচাতে কৃষকের আর্তনাদ গোটা নেট দুনিয়ায় সরব ফেলেছে। ঘটনাটি উত্তর চড়িলাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮ নং ওয়ার্ড ফকিরামুড়া এলাকায় রবিবার দুপুরে। এলাকাটি মূলত কৃষি প্রধান। এখানকার বেশিরভাগ মানুষই কৃষির উপর নির্ভরশীল। এই এলাকায় রয়েছে এলাকার কৃষকদের বিশাল পরিমাণ পাতা সব্জির জমি। সম্প্রতি বিধ্বংসী বন্যার কারণে প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকেরা। এরপর আবারও কিছুদিন আগে শিলা বৃষ্টির ফলে ধ্বংস হয়ে যায় কৃষকদের লাউ, কাঁকরোল, সিম, ডাটা, ধনিয়া পাতা, মুলা, বেগুন, কোমর সবকিছুই । তাই এখন নিঃস্ব হয়ে শুধুমাত্র আলু চাষ করবেন কৃষকেরা। হাতে কোন রকম টাকা পয়সা নেই তাদের। আলু চাষ করতে রাজ্য কৃষি দপ্তরের কাছে সাহায্যের আবেদন জানান এই মাঠেরই কৃষক ফারুক মিয়া, বাহাদুর মিয়া, ফজলু মিয়া, জুহারা বেগম, আবু সায়েম সহ অন্যান্য কৃষকেরা । তাদের আর্তনাদ, কি করে বাঁচবেন তারা। একের পর এক ধ্বংস হচ্ছে কৃষি ক্ষেত । বন্যা ও শিলা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তারা। সরকারের পক্ষ থেকে ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়নি কোনো। অবশেষে রাগে দুঃখে কৃষকের মুখে বেড়িয়ে এলো গান। কষ্টের গান। বন্যায় যাদের প্রকৃত ক্ষতি হয়েছে তারাই কোনরকম সরকারি সাহায্য পাননি অথচ যারা শাসক দলের কিছু নেতাদের সাথে যোগ সূত্র রাখেন সেই তারাই নাকি পেয়েছেন সরকারি সাহায্য। রাজ্য সরকারের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত করার আর্জি ও জানিয়েছেন কৃষকেরা। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাহায্যের দাবিও জানিয়েছেন বন্যায় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা।
তবুও যদি তাদের দুঃখ না বোঝেন সরকার মহল ?
তাই গানে গানে শোনালেন কষ্টের কথা !
শুনুন সেই কৃষকের করুন অবস্থার গান