Ex CM Manik Sarkar casts vote
জেল্লা হাড়িয়ে গেছে প্রধানমন্ত্রীর। জয় নিয়ে ভুগছেন আশঙ্কায়!*
শুরু হয়ে গেছে দেশের সবচাইতে বড় গণতন্ত্রের উৎসব লোকসভা নির্বাচন। আজ ১৯শে এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে নির্বাচনের প্রথম পর্ব। ত্রিপুরার পশ্চিম আসনের পাশাপাশি দেশের সর্বমোট ১০২ টি আসনে চলছে ভোট গ্রহন।
উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে ত্রিপুরার দিকে বিশেষ নজর বরাবরই থাকছে। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগেই রাজ্যে এসে নিজের শেষ বক্তব্য পেশ করে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তার ঠিক একদিন আগে রাজ্যে এসেছিলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদিকা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এবার লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার পশ্চিম আসনে ভোটারদের মধ্যে মোদী ম্যাজিক কাজ করবে নাকি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বান সেটাই দেখার বিষয়।
সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েচে ভোট গ্রহন। দুপুর ১টার মধ্যে প্রায় ৫১% ভোট পড়েছে গোটা পশ্চিম আসনে। তারই মধ্যে ভোট প্রয়োগ করলেন রাজ্যের ২৫ বছরের মুখ্যমন্ত্রী তথা পলিটব্যুরো সদস্য মাণিক সরকার। সহধর্মিণী পাঞ্চালী ভট্টাচার্য কে সঙ্গে নিয়ে এদিন ভোট প্রয়োগ করলেন তিনি।
ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সাংবাদিকদের সাথে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বেশ কিছু মনোমুগ্ধকর উক্তি করেছেন। উল্লেখ্য , কিছুদিন আগে এক জনসভায় বিপ্লব কুমার দেব মাণিক সরকার কে পদ্ম চিহ্নে ভোট দিতে আহ্বান জানান। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে এদিন মাণিক সরকার বলেন, “বিপ্লব দেব এর কোনো বক্তব্যের জবাব দেওয়াটাই মুর্খামি। তাছাড়া তার কথার জবাব দিয়ে আমি তাঁকে গুরুত্ব দিতে চাইছিনা।এর চাইতে ও বড় প্রসঙ্গ রয়েছে বর্তমানে।“
অন্যদিকে দেশজুড়ে যে বৃহৎ মাপের রাজ্য গুলো যেমন উত্তরপ্রদেশ , পশ্চিম বঙ্গ, তামিলনাডু ইত্যাদির আসনে ভোট এর ক্ষেত্রে তিনি বলেন , “ বিগত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে মোদী সরকার ৬৬ টি আসনে জয় লাভ করেছিল। কিন্তু এবার সেটাও করবে না। তামিলনাডু তে ও বিজেপি র ভালো ফলাফলের কোনো আশা নেই। তাছাড়া পশ্চিম বঙ্গে বিরোধী বাম ও কংগ্রেস দলের জোট উভয় তৃনমূল ও বিজেপির উপর ভারী পড়বে “ ।
রাজ্যের মানুষ যদি নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তবে এবারের নির্বাচন দেশের সার্বিক পরিস্থিতি পাল্টে দিতে পারে। আগামী ৪ঠা জুন ফলাফল প্রকাশের পরেই দেখা যেতে পারে ভারত বর্ষ এক নতুন প্রধানমন্ত্রী পেতে চলেছেন আবারো, এমনটাই নিজের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং বর্তমান দেশের সার্বিক পরিস্থিতির নিরিখে বক্তব্য রাখলেন মাণিক সরকার।