Eskuf Syrup Ceased : ন্যাশানাল হাইওয়ে কে ভালো মতেই কাজে লাগাচ্ছে নেশা পাচারকারীরা। আর তাদের কে কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ে অনায়াসে মদত যুগিয়ে যাচ্ছে কিচ্ছু লড়ি চালক। বহু চালক এই পাচার বানিজ্যে পুলিশের নজর কাটিয়ে পালাতে পারলেও অনেকেরই আবার ভাগ্য ততটা সাথ দেয়না। আর তাই বিগত ৪৮ ঘণ্টায় দু দুজন লড়ি চালক পাচার কাণ্ড ঘটাতে গিয়ে শেষে এখন পুলিশের হাতে নেস্ত নাবুদ।
উল্লেখ্য, অসম পেড়িয়ে চুরাইবারি চেক পোস্ট এর কড়া নিরাপত্তা ডিঙ্গিয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করা কালে ধরা পরেছে সন্দেহ ভাজন এক লড়ি চালক। বাড়ি বিহারে। নাম মোঃ রইস। অভিযোগ , সকাল আনুমানিক ১০ টা নাগাদ অসমের গুয়াহাটি থেকে AS01EC-0528 নম্বরের একটি বারো চাকার লরি নিয়ে অসম চুরাইবাড়ি পুলিশের নাকা পয়েন্টে আসতেই পুলিশের তল্লাশি মূলে ঐ লড়ি থেকে উদ্ধার হয় ব্যাপক পরিমাণে এসকফ নিষিদ্ধ কফ সিরাপ।
পুলিশ গাড়িটি তল্লাশি চালিয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া ট্রান্সপোর্টের বিভিন্ন খুচরো পন্য ও কাপড় দেখতে পায়। আর তার আড়ালেই আচমকা নজর যায় কিছু নকল বিদ্যুৎ মিটারের দিকে। সেখানেই এসকাফ সিরাপ গুলো দেখতে পায় পুলিশ । অর্থাৎ নকল বিদ্যুৎ এর মিটারের আদলে তৈরি টিনের বাক্সের ভেতরে এসকাফ গুলো রাখা ছিল। পরে পুলিশ বাক্স গুলো ভেঙ্গে নেশার সিরাপ জব্দ করে।
জানা গেছে মোট বারোটি নকল মিটার বাক্সে মোট তিন হাজার এসকাফ ছিল। যার কালোবাজারি মূল্য প্রায় ত্রিশ লক্ষ টাকা বলে অনুমান করছেন পুলিশ বাবুরা । অপরদিকে, গাড়ির চালক মোহাম্মদ রইসকে আটক করা হয়েছে। ধৃতের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনের আওতায় সুনির্দিষ্ট ধারায় অসম পুলিশ মামলা দায়ের করে তদন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানান ইনচার্জ।
বলা বাহুল্য, নেশার রমরমা বানিজ্য চালানোর জন্যে দিন কে দিন নিত্য নতুন ফন্দী আঁটছে নেশা কারবারি রা। তাদের এই নেশা বানিজ্যে কুঠারাঘাত না বসাতে পারলে এবং তাদের কে সমূলে উৎখাত করতে না পারলে এভাবেই নেশার সমুদ্র বিস্তৃতি লাভ করতে থাকবে। এখন দেখার বিষয় এই পাচার কাণ্ডের সাথে যে আসল মাস্টার মাইন্ড গুলো জড়িত থাকছে তাদের কে পুলিশ কবে নাগাদ ধরপাকড় করে গারদে পুরতে পারে।