ECI VS Supreme Court : ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে যদি গণহারে নাগরিকদের নাম বাদ দেওয়া হয়, তবে সুপ্রিম কোর্ট নিশ্চুপ থাকবে না—এমনই কড়া বার্তা দিল দেশের শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিল, গণহারে নাম বাদ পড়ার ঘটনা নজরে এলে আদালত নিজে থেকেই হস্তক্ষেপ করবে।
এই বিষয়ে কোনও নতুন নির্দেশ আপাতত দেওয়া হয়নি। তবে বেঞ্চ মনে করিয়ে দেয়, ভোটার তালিকা সংশোধনের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত “জনগণকে যুক্ত করা, বাদ দেওয়া নয়”।
উল্লেখ্য, SIR (Special Intensive Revision)-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রথম মামলা দায়ের করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বর্তমানে রাজ্য সরকারও সেই মামলায় যুক্ত হতে চায়। ইতিমধ্যে বিহারের একাধিক মামলাকে একত্রিত করে শুনানি শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
সোমবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দায়ের করা হলফনামায় দাবি করা হয়েছে, কোনও আইনবিরুদ্ধ পদ্ধতিতে বা নাগরিকদের ভোটাধিকার হরণ করে তালিকা সংশোধনের কাজ করা হচ্ছে না। তাতে আরও বলা হয়, আধার কার্ড শুধুমাত্র পরিচয়পত্র, ভোটার হওয়ার যোগ্যতার প্রমাণ নয়।
অন্যদিকে, পুরনো তালিকার ভিত্তিতে তৈরি হওয়া EPIC নম্বরের বিষয়ও উল্লেখ করা হয়। একইসঙ্গে বলা হয়, রেশন কার্ড—যা আজ ভুয়ো কার্ডের জন্য বিতর্কিত—তাকেও ভোটার যোগ্যতার প্রমাণ হিসাবে ধরা চলবে না।
তবুও সুপ্রিম কোর্ট পরামর্শ দিয়েছে, আধার ও ভোটার কার্ড—উভয়কেই বৈধ নথি হিসেবে বিবেচনা করার জন্য। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের অনাগ্রহ দেখে মঙ্গলবার আদালত আরও কঠোর মনোভাব গ্রহণ করে।
এসআইআরের নামে যদি গণহারে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ে, তাহলে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করবেই। কমিশনকে ‘সুপ্রিম’ মানতে হবে শুধু কাগজে কলমে নয়, বাস্তব কাজেও।