CPIM Relly Agains Eletric Smart Meter : রাজ্য সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে এবং বিদ্যুৎ নিগমের সর্বনাশা সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রবিবার হালহালি বাজারে দৃপ্ত পদক্ষেপে পথে নামলো সিপিআই (এম)। চড়া হারে বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি ও স্মার্ট মিটার চালুর বিরুদ্ধে হালহালি পার্টি অফিসের সামনে থেকে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়, যা উত্তরে পেট্রোল পাম্প থেকে দক্ষিণে দেবীছড়া চৌমুহনী হয়ে পুনরায় পার্টি অফিসের সামনে এসে শেষ হয়।
প্রখর রৌদ্রতাপ উপেক্ষা করে জনতার ঢল নামে মিছিলে। মিছিলের শেষে অনুষ্ঠিত হয় এক প্রতিবাদ সভা, যার সভাপতিমণ্ডলীতে ছিলেন কল্যাণী রায় ও চরনিয়া দেববর্মা। সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই (এম)-এর ধলাই জেলা কমিটির সম্পাদক অঞ্জন দাস, কমলপুর মহকুমা কমিটির সম্পাদক অমর ভট্টাচার্য এবং সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রনবিজয় দত্ত।
এই শ্লোগানগুলো সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষেরা উৎসাহের সঙ্গে এই প্রতিবাদকে স্বাগত জানায়।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে অঞ্জন দাস বলেন, “বর্তমান বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ধারাবাহিকভাবে জনবিরোধী নীতি গ্রহণ করে চলেছে। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ প্রতি ইউনিটের গড় মূল্য ছিল ৩ টাকা ৯৯ পয়সা। আজ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৯২ পয়সায়। সঙ্গে রয়েছে একগুচ্ছ অতিরিক্ত চার্জ – এনার্জি, ফিক্সড, মিটার, ডিউটি, ফুয়েল ও সানড্রিস চার্জ – যা সাধারণ মানুষের কাঁধে বাড়তি বোঝা চাপাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “স্মার্ট মিটার প্রকল্প চালুর মাধ্যমে সরকার বেসরকারি সংস্থাগুলিকে লাভের রাস্তা করে দিচ্ছে। অথচ বিদ্যুৎ পরিষেবার বেহাল দশা, বহু জায়গায় দিনের পর দিন বিদ্যুৎ থাকে না। নিয়োগ বন্ধ, নজরদারির অভাব – সব মিলিয়ে বিদ্যুৎ খাতের বিপর্যয় চলছে।”
অমর ভট্টাচার্য বলেন, “সরকার বিদ্যুৎ পরিষেবাকে বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চাইছে। এতে জনগণের উপর চাপ বাড়বে, আর সরকারের দায় থাকবে না। দেশজুড়ে যেভাবে প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে উঠছে, তাতে আমাদের লড়াইকেও শক্তিশালী করতে হবে।”
এই কর্মসূচির মাধ্যমে সিপিআই (এম) স্পষ্ট বার্তা দিল – বিদ্যুৎ খাতে জনবিরোধী সিদ্ধান্ত ও বেসরকারিকরণের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে তারা রাস্তায় থাকবে, জনগণের স্বার্থে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।