CM visit Kamalasagar : কমলাসাগরে বিপর্যস্ত দের পাশে মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মাণিক সাহা
কাল বৈশাখী ঝড়ের প্রকোপে গোটা ত্রিপুরা রাজ্যে ভীষণ পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল রবিবারে। সকাল সকাল আচমকা ঝড় তুফানে জনজীবন খানিকটা স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল। বৈশাখ মাস শুরুর আগেই এই পরিস্থিতি দেখে রাজ্য বাসীর মনে শঙ্কা ক্রমশই বাড়ছে। তাছাড়া উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলো গ্রীষ্ম মণ্ডলীয় অঞ্চলের খুব কাছাকাছি অবস্থান করায় গ্রীষ্ম কালে এখানে প্রখর গরম এর অনুভব হয়। জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সাধারণত বর্ষা কাল , সেই হিসেবে এই সময়েই প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এই বছর জলবায়ুর কিছুটা তারতম্য রয়েছে বৈকি। যে কারণে বসন্তের বিদায় এবং গ্রীষ্মের আগমন কে বেপরোয়া করে একেবারে বর্ষা কালের অনুভুতি হচ্ছে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য গুলিতে। তার মধ্যে বর্তমানে ত্রিপুরার সর্বত্রই প্রবল ঝড় ও তুফান সমেত হচ্ছে বৃষ্টিপাত।
রবিবার সকালের এই আচমকা বৃষ্টিপাতে রাজ্যের বেশ কিছু জায়গা গুরুতর ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে কমলাসাগর বিধানসভা কেন্দ্রের বেশ কিছু এলাকা। এছাড়া গোমতী জেলার উদয়পুর ও মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে ও ঝড়ের প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে কমলাসাগর বিধানসভা কেন্দ্রে এদিনের ঝড়ের কারণে ঘর ছাড়া হয়েছেন বহু মানুষ। লেম্বুতলী, চাম্পামুরা সহ বিভিন্ন এলাকায় বিধ্বংসী কালবৈশাখী ঝড়ে মানুষের বাড়ি ঘর লন্ড ভন্ড করে দেওয়ার খবর রবিবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছিল। খবর পৌঁছে যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ও ।
অবশেষে সোমবার সকাল দশটা নাগাদ লেম্বুতলী এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলির সাথে দেখা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডক্টর মানিক সাহা। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়িকা অন্তরা সরকার দেব,বিশালগড় মহকুমা শাসক রাকেশ চক্রবর্তী মন্ডল সভাপতি সুবীর চৌধুরী ব্লক চেয়ারপারসন ছন্দা দেববর্মা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। চারিদিকে বর্তমানে লোকসভা নির্বাচনের আবহ। তাই বর্তমানে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী ও। তবে বিপর্যস্ত দের পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে নির্বাচনী ব্যস্ততার মধ্যেও এদিন ছুটে যান তিনি। সেদিন মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তাদের সকলেই ঘর ছাড়া হয়ে বর্তমানে স্থানীয় স্কুল কিংবা অঙ্গনওয়ারী তে আশ্রয় নিয়েছেন। উনাদের পরিস্থিতি দেখে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং তিনি জানিয়েছেন কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে অবশ্যই সরকারি সাহায্য প্রদান করা হবে।