CM Manik Saha casts vote
দেশের অষ্টাদশ তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে শুরু হয়ে গেছে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন। দেশজুড়ে প্রায় ১০২ টি লোকসভা আসনে এই মুহূর্তে ভোটিং চলছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে ত্রিপুরার পশ্চিম আসন। ১৯শে এপ্রিল পশ্চিম আসনের ৮ টাউন বরদোয়ালি কেন্দ্রের ভোটার তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও নিজের ভোট প্রদান করলেন।
ভারতীয় নাগরিক হিসেবে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করলেন ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মাণিক সাহা । শহরাঞ্চলের সব কটি বুথেই উৎসবের আমেজে ভোট চলছে। ভোটার রা স্বেচ্ছায় এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দানে এগিয়ে আসছেন বলে জানান তিনি।
এদিন ভোট দান শেষে বুথ থেকে বেড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েই নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভোটাধিকার প্রত্যেক মানুষের জন্মগত এবং গণতান্ত্রিক অধিকার। ৫ বছর অন্তর অন্তর এই ভোট উৎসব কে উদযাপন করবেন বলে রাজ্য ও দেশের লক্ষ কোটি মানুষ অধীর আগ্রহে বসে থাকেন। তিনি আরও বলেন, এবারের লোকসভা নির্বাচন অবশ্যই দেশের জন্যে একটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কে তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেবেন দেশের আপামর জনগণ এটাই প্রত্যাশা করছেন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মাণিক সাহা।
মুখ্যমন্ত্রীর বার্তায় সাড়া পশ্চিম আসন জুড়ে সুষ্ঠু এবং ফেয়ার নির্বাচন সম্পন্ন হবার কথা শুনতে পাওয়া গেলেও বহু জায়গায় এদিনের ভোট দান কে কেন্দ্র করে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা উঠে এসেছে। শহরের একাধিক বুথে পোলিং এজেন্ট দের কে প্রবেশে বাঁধা দেওয়া হয়েছে। ভোটারদের মাঝ পথ থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এধরণের বিক্ষিপ্ত ঘটনার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এধরণের ঘটনা কি সত্যিই ঘটেছে? যদি ঘটে থাকে তবে অবশ্যই এমনটা হওয়া একেবারেই উচিৎ নয়! অবশ্যই এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এর নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে বলে সহমত প্রদর্শন করতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী কে।
উল্লেখ্য, সকাল ৭টা থেকে ভোট গ্রহনের কাজ শুরু হবার কথা থাকলেও বেশ কিছু পোলিং স্টেশনে ইভিএম এর যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ভোট শুরু হয় বিলম্বে। পাশাপাশি কিছু বহিরাগত দুষ্কৃতিদের আঁতকা হুমকির শিকার ও হতে হয়েছে বহু ভোটার কে। তবু ও কিছু কিছু ভোটার সাহসের সাথে ভোট কেন্দ্রে এগিয়ে গিয়ে ভোট দিয়েছেন এদিন।
আগামী ২৬শে এপ্রিল পূর্ব ত্রিপুরায় ভোট গ্রহন। সেদিকেও যেন সুষ্ঠুভাবে ভোট দান সম্পন্ন হয় সেদিকে নজরদারি রাখার জোরালো আবেদন জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশন কে।