Boxanagar Farmer News : বিগত কয়েক দিনে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় কৃষকের কৃষি জমিতে দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে। যে কৃষকেরা তাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আমাদের মুখে দু বেলার অন্ন তুলে দেন তাদের কেও ছাড় দিচ্ছে না কতিপয় সমাজ বিরোধী রা। এই ঘটনা কে তীব্র ভাষায় নিন্দা জানিয়ে ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহার ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট করা হয়। কিন্তু তাঁর ২৪ ঘণ্টা অতিক্রমের আগেই আবারো একই ভাবে এক কৃষকের জমিতে বিনাশ ঘটালো কতিপয় দুষ্কৃতীরা।
ঘটনা বক্সনগর আর. ডি. ব্লকের অন্তর্গত বাগবের গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নং ওয়ার্ড এলাকায়। ঐ এলাকার কৃষক উত্তম দাস বহু বছর যাবত কৃষি জীবীর সাথে যুক্ত। শুধু জমি নয়, রাবার বাগান এবং পুকুরে মাছ এর চাষ ও রয়েছে উনার। এই সব কিছু দিয়েই স্ত্রী সন্তান নিয়ে হেসে খেলে চলছে জীবন। কিন্তু তা সহ্য হল না দুষ্কৃতী দের।
মঙ্গলবার গভীর রাতে কে বা কাহারা উত্তর দাসের প্রায় ১ কানি জমিতে চাষ করা শশা ক্ষেত একেবারে কেটে ধ্বংস করে দিয়ে যায়। ঐ এক কানি জায়গায় প্রায় ৩২০০ টি চারা গাছ লাগিয়েছিল উত্তম দাস। তাঁর স্ত্রী অর্পিতা দাস ও স্বামীর পাশাপাশি এই জমিতে সকাল থেকে রাত অব্দি পারিশ্রমি দিয়েছেন। কিন্তু অবশেষে এই ঘটনা দেখে তাদের কেউরই মাথা ঠিক রাখার কথা নয়।
ভোরে জমিতে গিয়ে শশা গাছগুলির কাটা ও নষ্ট হওয়া অবস্থা দেখে উত্তম দাস মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন এবং সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন উত্তম দাসের স্ত্রী অর্পিতা দাস । উত্তম দাসের স্ত্রী অর্পিতা দাস বলেন ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য ভোর চারটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত বাগানে কাজ করেন । এত কষ্টের ফসল এক রাতে শেষ করে দিল ওরা। এখন কিভাবে বাচবেন তারা , এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। তারা আরও জানান এই বাগান করতে তাদের প্রায় ১ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। দুষ্কৃতীরা যে ক্ষতি করে দিয়ে গেছে তাঁর পূরণ কেউই করতে পারবে না।
কৃষক দের উপর দিন কে দিন বেড়ে চলা এই অত্যাচার এখন প্রকৃত অর্থেই বিচারের দাবী রাখে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী কেবল সামাজিক মাধ্যম অব্দিই যেন প্রতিবাদে সরব না থেকে প্রকৃত অর্থে এর পেছনে দায়ী সমাজ বিরোধী দের চিহ্নিত করে শাস্তি প্রদানের নির্দেশ দেন এমনটাই চাইছেন এখন ক্ষতিগ্রস্থরা। প্রশাসন এই সমস্ত ঘটনা দমনে শক্ত হাতে ব্যবস্থা নিক এমনটাই দাবী। এখন দেখার বিষয় অসহায় কৃষক উত্তম দাসের পাশে কতটা সহযোগিতা করে প্রশাসন।



