BJP worker arrested
গরু পাচার কান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রবিবার রাতে কৈলাসহর ফুলবাড়ীকান্দি গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসক দলীয় প্রধানকে গ্রেফতার করে ধর্মনগর তথা উত্তর জেলার পুলিশ। দীর্ঘ দিন ধরে কৈলাসহর থানায় গরু পাচার কান্ড ছাড়াও ফুলবাড়ী কান্দি প্রধানের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ থাকলেও শাসক দলের রোয়াব দেখিয়ে বার বারই কৈলাসহর থানার পুলিশের জাল থেকে বেড়িয়ে যেত এই সুন্দর আলী।
এছাড়াও শাসক দলের এক জেলা নেতৃত্বের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় কৈলাসহর থানার পুলিশ বার বার জালে তুলতে চাইলেও জেলার সেই নেতার অঙ্গুলী হেলনে পার পেয়ে যেত সুন্দর আলী। বিভিন্ন সময়ে সুন্দর আলীর নামে একাধিক অভিযোগ থাকলেও আজ পর্যন্ত জালে তুলতে পারেনি কৈলাসহর পুলিশ। লোক মুখে এও শোনা যায় যে সুন্দর আলীর অবৈধ গরু পাচার ব্যবসার একটা মোটা অঙ্কের টাকা চলে যাচ্ছে কিছু বিজেপি নেতার পকেটে। তার ফলেই সমস্ত কিছু ম্যানেজ করে দিতেন জেলার সেই তাবর নেতা। তবে এবার উত্তর জেলা, ঊনকোটি জেলা সহ সোনামুড়া বক্সনগর এলাকা জুড়ে রাজ্যে যে গরু পাচারকারী চক্র সক্রিয় রয়েছে তার একটি একটি করে পান্ডাকে ধর্মনগর থানার পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
কিছু দিন আগে গরু পাচার কান্ডে জড়িত লিটন দাস ওরফে নান্টু কে পানিসাগর মহাকুমার রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা নোয়াপাড়া এলাকা থেকে ২৬ মার্চ অর্থাৎ রং খেলার দিন গ্রেপ্তার করে ছিলো ধর্মনগর থানার পুলিশ। তাকে ২রা এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির আইপিসি ১২০ বি ৩৮২এফ ৩৫৩ ৩৪ এবং ১১ ডি অফ এনিমেল প্রটেকশন অ্যাক্ট ছাড়াও সেক্টর এন্ড ড্যামেজ অফ পাবলিক প্রপার্টির ধারা প্রণয়ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য চব্বিশ মার্চ ধর্মনগরের আনন্দবাজার এসপিও ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে যখন দুটি বোলেরো পিকআপ গাড়িতে মোট নয়টি মহিষ ধরা পড়েছিল সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমে লিটন দাস তারপর তাদের মাস্টারমাইন্ড সুন্দর আলীকে পুলিশের জালে তুলে আনলো উত্তর জেলার পুলিশ।
এইসব গরু মহিষ কারবারীদের কারণে উত্তর তথা সারা রাজ্য নাজেহাল । এখন লিটন দাস, সুন্দর আলী ধরা পড়েছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো কোন কোন মহারথী ধরা পড়েন সেটাই দেখার বিষয়। এ পাচার বাণিজ্যের সাথে যুক্ত এক এক করে পুলিশের জালে চলে আসবে বলে উত্তর জেলা পুলিশ প্রশাসনের ধারণা। পাশাপাশি এই গরু পাচার চক্রের মামলার দায়িত্বে রয়েছেন ধর্মনগর থানার সাব-ইন্সপেক্টর শুভদীপ দেব । উনি মামলার তদন্ত করছেন বলে জানা যায়। এদিকে ধর্মনগর থানার সাব ইন্সপেক্টর শুভদ্বীপ বাবুর এ ধরনের কাজের দক্ষতা দেখে গো মাফিয়াদের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে বলেও অভিজ্ঞ মহলের ধারনা।
প্রসঙ্গ উল্লেখ্য যে শাসক দলের এই প্রধান বহু দিন ধরেই এই কান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ থাকলেও জেলার এক নেতৃত্বের কারনে বার বার পার পেয়ে যাচ্ছিলেন গরু পাচারকারী সুন্দর আলী। তবে বর্তমানে উত্তর ত্রিপুরা পুলিশের জালে ধরা পরায় কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছেন সেই ঊনকোটি জেলার নেতা।