Bishalgarh News : বিয়ের এক বছরের আগেই গার্হস্থ্য হিংসার বলি হলেন এক ১৯ বছর বয়সী নববধূ। মৃতার পরিবার দাবি করেছে, এটি আত্মহত্যা নয়, বরং একটি পরিকল্পিত খুন। ঘটনাটি ঘটেছে বিশালগড় মহকুমার গকুলনগর আদর্শ কলোনি এলাকায়।
নিহতা শিউলি দেবনাথ, আগরতলার মলয় নগরের বাসিন্দা এবং শংকর দেবনাথের কন্যা। তার বিয়ে হয়েছিল গোপাল দেবনাথের পুত্র রাজু দেবনাথের (৩২) সঙ্গে, সামাজিক রীতিনীতি মেনে প্রায় তিন বছর আগে। তবে বিবাহিত জীবনের শুরুর কিছুদিন ভালো কাটলেও, বিয়ের মাত্র দুই মাস পর থেকেই দাম্পত্য অশান্তি শুরু হয় বলে দাবি শিউলির পরিবারের।
পারিবারিক অশান্তির কারণে শিউলি এক পর্যায়ে দীর্ঘ ১১ মাস বাবার বাড়িতে ছিলেন। পারিবারিক মধ্যস্থতায় তিনি আবার স্বামীর ঘরে ফেরেন। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। পরিবারের অভিযোগ, শিউলির উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলত নিয়মিত। পণের দাবিতেও তার উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়।
গত শুক্রবার সকালে শিউলির শ্বশুরবাড়ি থেকে খবর আসে, তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, শিউলি আত্মহত্যা করতে পারেন না। বরং, তাকে স্বামী রাজু, শশুর গোপাল এবং শাশুড়ি কোরোনা দেবনাথ পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে।
ঘটনার পর শিউলির মৃতদেহ বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, দুপুর পর্যন্ত কোনও চিকিৎসকের দেখা না মেলায় উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে। বিশালগড় মহিলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে এবং পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।
নিহতার পরিবার ও এলাকার মানুষের দাবি, দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। আবারও এক তরুণী গৃহবধূর মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে নারীদের নিরাপত্তা ও সামাজিক অবক্ষয়ের দিক নিয়ে।