Bihar Result Controversy : বিহার নির্বাচনে হল কি ? কিভাবে হল এমন ফলাফল ? যে ফলাফল কিনা খোদ বিজেপিই আশা করতে পারেনি ? এই ফলাফল বাবদ সব রকমের ক্রেডিট কেন দেওয়া হচ্ছে নির্বাচন কমিশনার কে ? প্রশ্ন রয়েছে বহু।
২০২৫ সালের নভেম্বরে বিহারের নির্বাচন কে পাখীর চোখ করে বিরোধী রা “ভোট চোর গদি ছোড়” শ্লোগান কে সামনে রেখে নিজদের গুটি সাজায়। এদিকে বিজেপি যেডিইউ একের পর এক প্রকল্প ঘোষণা দিয়ে ভোট বাক্স স্ফীতির পরিকল্পনা করে। এর পরেও এতো পরিমাণ ভোট এর ব্যবধান কিন্তু এনডিএ জোট শিবির ও আশা করেনি।
বিহার নির্বাচন ৬ ও ১১ই নভেম্বর সম্পন্ন হয়। তার পরপরই সমস্ত গণমাধ্যমে আনুমানিক ও পর্যালোচনা ভিত্তিক এক্সিট পোল দেখানো হয়। কিন্তু কোথাও এনডিএ জোট এর জয়ের সম্ভাবনার ক্ষেত্রে এতো বিশাল পরিমাণ আসন সংখ্যা প্রকাশ পায়নি। ১৩০ থেকে ১৪০ আসনে জয়লাভের সম্ভাবনায় ময় এনডিএ কিভাবে ২০০ এর ও বেশি আসনে জয়ী হল , সেটা ভেবে উঠতে পারেনি খোদ গণ মাধ্যম গুলিও।
এবার তা নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে। লক্ষ্যনীয় বিষয়, নির্বাচনের ঘোষণা দেবার সময় বিহারে ভোটার তালিকা ও ভোট দাতাদের সংখ্যা নিজ মুখে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রকাশ করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমার। ঠিক এক মাস আগে যখন এসআইআর প্রক্রিয়া শেষে এই ঘোষণা হয় তখন বিহারের ভোট দাতাদের সংখ্যা জানানো হয় ৭ কোটি ৪২ লক্ষের মতো।
কিন্তু ভোট শেষ হতেই কমিশন যে তথ্য পেশ করেছে তা দেখে এবার বড় ধাক্কা খাবার অবস্থা। কমিশনের তথ্যে উঠে এসেছে যে এই ভোটে মোট ৭ কোটি ৪৫ লক্ষাধিক ভোটার অংশ নিয়েছেন। এবার প্রশ্ন এই বাড়তি ৩ লক্ষ ভোটার এলো কোথা থেকে ? আর যদি এই তথ্য সঠিক হয় তাহলে পূর্বে দেওয়া ৭ কোটি ৪২ লক্ষ তথ্যের ভিত্তি কি ছিল ?
বিভিন্ন সূত্রে খবর ৬ তারিখ প্রথম পর্যায়ের ভোট শেষ হতেই বহু ব্যালট ভোট ড্রামে ভরে নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। এদিকে ১১ তারিখের নির্বাচনের পর ইভিএম এর স্ট্রং রুমের সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিল ২ ঘণ্টার জন্যে। সাসারামে এই ঘটনার পরপর একটি ট্রাক কে রাত ২ টায় স্ট্রং রুম থেকে বেরুতে দেখা যায় খালি ট্রাংক সমেত। এই সব কিছুই কি কাকতালীয় বিষয়?
সব দিক বিবেচনা করে বিরোধী শিবির গুলোর দাবী এসআইআর এর নামে বিহারে এক প্রকার ভেলকি দেখিয়ে আঁখেরে সেই একই ভাবে ভোট চুরি করা হয়েছে । আর তার ক্রেডিট সম্পূর্ণ ভাবেই নিয়েছে জ্ঞানেশ কুমারের কমিশন। যিনি বিজেপি এনডিএ জোট কে তাদের প্রত্যাশার চাইতেও দ্বিগুণ সিট লাভের আনন্দ পাইয়ে দিয়ে বাহবা কুড়িয়েছেন, এমনটাই অভিমত মহা জোট এর।
বিহারের যে সমস্ত বাসিন্দারা অন্য রাজ্যে ব্যবসা বাণিজ্যের খাতিরে বসবাস করছেন তারাও বলছেন, বিহারে এ বছর আরযেডির সরকার গড়া নিশ্চিত ছিল। কিন্তু ভোট চুরি হয়েছে। তাই এনডিএ সরকারের প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। সব চাইতে বড় প্রশ্ন, এই ৩ লক্ষ ভোটার দের আচমকা আগমন নিয়ে কমিশন কোনো স্পষ্টীকরণ দেবে কি ?
হিসেব করে দেখা গেছে বিহারের ২৪৩ টি আসনের প্রতিটি তেই যদি এই ৩ লক্ষ ভোট কে ভাগ করে দেওয়া যায় তাহলেও সহজেই সব কটি আসন এনডিএর দখলে চলে যেতে পারে। তবে কি বিহার নির্বাচনের ফলাফল এর আসল খেলা এই ৩ লাখ ভোটার দিয়েই ? বিহার নির্বাচন ফলাফলের আসল রহস্য কি – সেই প্রশ্নই নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে তুলে ধরছে বিরোধী শিবির। তবে কমিশন্তার জবাব দেবে কিনা সেটাই প্রশ্ন।



