Bamutia Affair News : বামুটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত খলাবাড়ি এলাকায় স্বামী-সন্তান ফেলে আবারও নিখোঁজ হলেন সঙ্গীতা ভীল নামে এক গৃহবধূ। কয়েকদিন ধরে কোনো খোঁজ না পাওয়ায় তার স্বামী স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, অতীতে ব্যক্তিগত কলহের কারণে সঙ্গীতা বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ঠিকই, তবে তখন যোগাযোগ রাখা যেত। কিন্তু এবার কোনো দিক থেকেই তার সন্ধান মিলছে না, যা নিয়ে স্বামীসহ দুই সন্তান চরম উদ্বেগে রয়েছে।
তবে গৃহবধূ নিখোঁজের ঘটনা রাজ্যে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে উঠছে। অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের ঘটনার নেপথ্যে পারিবারিক অশান্তি, স্বামী-স্ত্রীর বিশ্বাসঘাতকতা এবং পরকীয়ার মতো সামাজিক ব্যাধি বড়ো ভূমিকা রাখছে। সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থা যেমন মানুষের জীবন সহজ করেছে, তেমনি সম্পর্কের ভাঙনও বাড়িয়ে তুলেছে। অল্পতেই মানসিক দূরত্ব সৃষ্টি হওয়া, পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস ও আবেগ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা মানুষকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে।
খলাবাড়ির এই ঘটনাটি নিয়েও এলাকায় নানা জল্পনা দেখা দিয়েছে। প্রতিবেশীদের দাবি, সংসারে অশান্তি থাকার কারণে সঙ্গীতার মধ্যে মানসিক অস্থিরতা ছিল। তবে নিখোঁজ হওয়ার পেছনে পরকীয়ার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দিচ্ছে না স্থানীয়রা। বর্তমান সময়ে এ ধরনের সম্পর্কের জটিলতা বহু পরিবারকে বিপর্যস্ত করছে—স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন দুর্বল হয়ে পড়ছে, সন্তানরা মানসিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, আর সমাজে অবিশ্বাস ও হতাশা বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পরকীয়ার মতো বিষয় পরিবারকে শুধু ভেঙে দেয় না, বরং সামাজিক কাঠামোকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। পরিবারের ভাঙন থেকে জন্ম নেয় অসংখ্য মানসিক সমস্যা, যা পরবর্তী প্রজন্মকেও প্রভাবিত করে। তাই সম্পর্ক রক্ষায় পারস্পরিক আস্থা, খোলামেলা কথা বলা এবং মানসিক সহায়তার গুরুত্ব এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।
এদিকে সঙ্গীতা ভীলের সন্ধানে পুলিশ তৎপর হয়েছে। পরিবার ও এলাকাবাসীর আশা—দ্রুতই রহস্যের জট খুলবে এবং তিনি সুস্থভাবে পরিবারের কাছে ফিরে আসবেন।



