Amra Bangali News : ২৩শে অক্টোবর তিপ্রা মথা আশ্রিত সিভিল সোসাইটি নামক সংগঠনের আহ্বানে ডাকা বনধ কে ঘিরে রাজ্য ব্যাপি এক দম বন্ধ কর পরিস্থিতি কায়েম এবং শান্তির বাজার, কমলপুরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে রাজ্য সরকার কে কালিমালিপ্ত করার পাশাপাশি তিপ্রা মথার স্বরূপ প্রদর্শন এর ঘটনা এখন সবার মুখে মুখে।
শাসক সরকারে থেকে, শরিক দল হয়ে তাদের এহেন আচরণ কোনোভাবেই গ্রহন যোগ্য নয়। কমলপুর শান্তির বাজারের ঘটনায় আহত সরকারি আধিকারিকেরা এখনো হাসপাতালের বিছানায় শয্যাশায়ী। তাদের চিকিৎসা চলছে রাজধানীর গোবিন্দ বল্লভ পেন্ট হাসপাতালে। দফায় দফায় শাসক বিরোধী এবং খোদ সন্ত্রাসী তিপ্রা মথা সংগঠনের নেতারা গিয়ে আহতদের খোঁজ নিচ্ছেন।
বাদ পড়েন নি আমরা বাঙালী ও। আমরা বাঙালী সংগঠন রাজ্যের বাঙ্গালীদের জন্যে বরাবরই সুর চড়িয়ে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে চলেছেন। আজ শনিবার আহত দের খোঁজ নিতে হাসপাতালে ছুটে যান এক প্রতিনিধি দল। ছিলেন গৌরাঙ্গ রুদ্রপাল, দুলাল দাস, গীতাঞ্জলী দেবী সহ অন্যান্যরা।
এদিন হাসপাতালের আহত দের সাথে দেখা করে গোটা বিষয়ে অবগত হবার পর রাজ্য সরকার ও শরিক মথা কে তীব্র ভাষায় ধিক্কার জানালেন গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল। শাসক শরিক হয়েও সরকারে থেকেও আম জনতা এমনকি সরকারি কর্মীদের উপর এহেন নির্যাতন অকল্পনীয়। এই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পেরুতে চললেও এখন অব্দি গ্রেফতারী নেই। আসামীদের গ্রেফতার করার দাবী জানান তিনি।
অন্যদিকে হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় তিন জন ভর্তি হলেও তাদের একজন হাসপাতালের জরাজীর্ণ পরিষেবায় অতিষ্ঠ হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন। সরকার এদিকে দৃষ্টি দেয়নি। যা অত্যন্ত নিন্দার বিষয়। একটি সরকারি হাসপাতালে , সরকারি কর্মী জিবিরাই পান নি সঠিক চিকিৎসা। সরকার যেন এই দিক টি তে দৃষ্টি পাত করেন সেই আহ্বান জানান গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল।
উল্লেখ যোগ্য বিষয়, এদিন গৌরাঙ্গ বাবুর বক্তব্যে তেমন ধার চোখে পড়েনি। শাসক দল কে হাল্কা ভাবেই ধিক জানিয়ে ছেড়ে দেন তিনি। আগের ন্যায় সেই উরজা এখন আর দেখা যাচ্ছে না আমরা বাঙ্গালীর মধ্যে। অনেকেই বলছিলেন এরা বিজেপির টিম হিসেবেই কাজ করছে। তবে , আদৌ তা কতটা সঠিক সেটা এখুনি বলা সম্ভব নয়।



