Agartala Akhaura railways
দুই প্রান্তের মানুষের দীর্ঘ প্রত্যাশিত স্বপ্নের ট্রেন চালু হবে আর কিছুদিনের মধ্যেই। ভারতের সাথে উত্তর পূর্বাঞ্চল কে করিডোর করে বাংলাদেশের সাথে যুক্ত করার এটিই হবে প্রথম রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা।
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার ঈশানচন্দ্র নগরে গড়ে উঠা আন্তর্জাতিক মানের রেল স্টেশন থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রউনা হবে ট্রেন। আর তা আখাউড়া সীমান্ত পেড়িয়ে পৌঁছে যাবে সুদূর বাংলাদেশ যার দুরত্ব হবে মাত্র ১০ মিনিট। আর এই পথ ধরেই ত্রিপুরার থেকে বাংলাদেশ হয়ে ট্রেন পৌঁছে যাবে সুদূর কলকাতা। যাতে সময় লাগবে মাত্র ১০ ঘণ্টা। সেই অপেক্ষাতেই আপাতত দিন গুনছেন দুই প্রান্তের বহু যাত্রী। বিশেষ করে ত্রিপুরা থেকে যারা কলকাতা যেতে রেল পথ কেই বেশি পছন্দ করেন তবে ৩৬ ঘণ্টা সময় অতিবাহিত করতে তাদের খানিকটা অস্বস্তিতে পড়তে হয় বলে বাধ্য হয়ে বেশি মুল্য দিয়ে বিমান যোগেই চলে যান কলকাতায় তাদের কাছে রেলপথে বাংলাদেশ হয়ে কলকাতা ১০ ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়াটা একটা বিরাট প্রাপ্তি। আর সেজন্যেই এই রেল পরিষেবা চালু হওয়া নিয়ে এই অংশের যাত্রীদের মধ্যেই একটা তীব্র তেষ্টা উদ্বেলিত হচ্ছে।
বলা বাহুল্য, কয়েক মাস আগেই আখাউড়া এবং ঈশানচন্দ্র নগর স্থিত রেল স্টেশনের উদ্বোধন সম্পন্ন হয়ে গেছে। খুব শীঘ্রই চালু হবে রেল যোগে যাত্রী ও পণ্য পরিষেবা। এই আশ্বাস একাধিকবার মিলেছে বটে। তবে এখনো পরিষেবা চালু না হওয়ায় দুই প্রান্তের মানুষের মনেই মাথা চারা দিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। এদিকে দুই প্রান্তের সরকার ও সরকারি আধিকারিকেরা ও আশ্বস্ত করেছেন যে যাত্রীদের কে হতাশ করা হবে না। খুব শীঘ্রই কিছু রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক জটিলতা এবং নিয়ম নীতির অবসান ঘটিয়ে যাত্রীদের জন্যে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে এই রেলপথ।
তাই আজ আবারো ভারতীয় রেল বোর্ডে সদস্য এবং ইস্ট সেন্ট্রাল রেলওয়ে জেনারেল ম্যানেজার অনিল কুমার খণ্ডেলওয়াল এই বিষয়টি সুনিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, আজ বুধবার ভারতীয় রেল বোর্ডের সদস্য এবং ইস্ট জোনের সেন্ট্রাল রেলওয়ে জেনারেল ম্যানেজার অনিল কুমার খণ্ডেলওয়াল আগরতলা আখাউড়া রেলপথ পরিদর্শন করেন। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে আগরতলা-আখাউড়া রুটে নিয়মিতভাবে ট্রেন চলবে বলে এদিন পুনরায় আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। খুব শীঘ্রই মানুষ দেখবেন ভারত থেকে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে রেল যোগে যাত্রীরা আসা যাওয়া করছেন। এদিন উনার সঙ্গে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলসহ রেল বোর্ডের অন্যান্য আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
এমনিতে রেল পথের কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এবার শুধুমাত্র দুই প্রান্তের সরকারের আদেশের অপেক্ষা। সব কিছু ঠিক ঠাক ভাবে সাঙ্গ হলে চলতি বছরের কোনো একটা সময়েই শুরু হতে পারে রেল পথে এপার থেকে ওপারে যাতায়াত। আর তাতে যে খুব বেশি একটা সময় অবশেষ নেই তা কিছুটা হলেও অনুমান করা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে ভারতে লোকসভা নির্বাচন চলছে। ৪ঠা জুন ফলাফল ঘোষণার পর কেন্দ্রে নয়া সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে নাকি বর্তমান সরকারের পুনরাগমন ঘটবে সেই নিয়ে এই মুহূর্তে গোটা দেশের মানুষ সমেত ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ দের ও একটা উদ্বেগ রয়েছে। রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শান্ত হলেই দুই প্রান্তের ভ্রাতৃত্ব বোধ আরও সুদৃঢ় হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
প্রত্যন্ত এলাকায় জল বাহিত রোগের প্রকোপ