ধৃত অবৈধ অনুপ্রবেশী ও তার সহযোগী দুই ভারতীয়

ভারত বাংলার সীমান্ত রক্ষী ও সীমা সুরক্ষা ব্যবস্থা কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দেদার এপার ওপারে অবৈধ যাতায়াত কায়েম রাখছে একাংশ সমাজ বিরোধী। রোজ নিয়মিত ভাবে এধরণের কাণ্ড ঘটছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে রেল পুলিশ কখনো কখনো রেল স্টেশন চত্বর থেকে কিংবা গোপন সূত্রের ভিত্তিতে অনুপ্রবেশি দের আটক করতে সক্ষম হচ্ছে আবার অনেক ক্ষেত্রেই তারা পাড় পেয়ে যাচ্ছে। ত্রিপুরা কে করিডোর করে ভারতে তাদের সাম্রাজ্য বিস্তৃতি গোটা দেশের নিরাপত্তার জন্যে কত বড় হুমকি তা হয়তো অনেকেই আন্দাজ করতে পারেন না। কিন্তু কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার তো ভালো মতে ওয়াকিবহাল আছেন এই বিষয়ে। তবুও কেন অবৈধ অনুপ্রবেশে লাগাম টানা এতটা কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ?
সম্প্রতি পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে অবৈধ অনুপ্রবেশের বহু ঘটনা।
এদিকে লোকসভা পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের সাংসদ ও হরিয়ানার প্রভারি বিপ্লব কুমার দেব সম্প্রতি কেন্দ্রের কাছে ত্রিপুরার সীমান্তে ঘটে চলা এই অনুপ্রবেশী দের বিষয়ে আলোকপাত করেছেন এবং কেন্দ্র যাতে এই নিয়ে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহন করে সেই কথা ও তুলে ধরেছেন।
ত্রিপুরা বাংলাদেশ সীমান্তের একটা বড় অংশে এখনো কাঁটা তারের বেরা পড়েনি। সেই এলাকা গুলো বরাবরই নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। পাশাপাশি কিছু অসাধু বিএসএফ কর্মী ও এই কাণ্ডে জড়িত রয়েছে বলে ঐ সমস্ত এলাকা থেকে খবর উঠে আসছে।
বাংলাদেশে চলমান হিংস্রতার মাঝে এভাবে অবৈধ অনুপ্রবেশ কোনোমতেই ভারত এর জন্যে শুভ বার্তা নয়।
যে ঘটনা প্রসঙ্গে আবারো এতো আলোচনা সেই ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। এদিন ভারতীয় দুই দালাল সহ একজন বাংলাদেশী কে আটক করেছে বিএসএফ। খোয়াই পুরান বাজার সীমান্ত এলাকায় তাদের আটক করেন সীমান্ত রক্ষীরা। ধূত বাংলাদেশীর নাম নীল দাস (৩৪), সে বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার বেলা নগর গ্রাম এর বাসিন্দা। অপর দুজন এ পারেরই বাসিন্দা। যাদের মদতে বাংলাদেশী ঐ ব্যাক্তি এপারে এসেছে। এভাবেই প্রতিনিয়ত বহু বাংলাদেশী বিনা পাসপোর্ট ভিসায় ঢুকে পড়ছে ত্রিপুরায় আর এখান থেকে ট্রেনে করে পাড়ি দিচ্ছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। সার্বিক অর্থে ভারতের একটা বিশাল অঙ্কের জায়গা জুড়ে বসতি গড়েছে বাংলাদেশী অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা। এই সমস্যা নিরসনে কেন্দ্র কত দ্রুততার সাথে পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার বিষয় ।

Leave A Reply