রোগী মৃত্যু কে ঘিরে প্রশ্নের মুখে আইজিএম’এর পরিষেবা

“ রক্ষকই ভক্ষক “ – এই প্রবাদ বাক্য টি বহুল পরিচিত এবং সাধারণত কোনো ধরণের আইনি ব্যাপারে জটিলতা কিংবা খাকী ওর্দি ধারীদের কোনো গাফিলতির ক্ষেত্রেই বেশিরভাগ সময় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু অবাক হতে হয় এটা ভেবে যে এই একই প্রবাদে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিচ্ছে এবার সাদা পোশাকি ডাক্তারেরা ও!
রাজধানীর অন্যতম রেফারেল হাসপাতাল আইজিএম এর কর্মকাণ্ড এমনই ইঙ্গিত করছে। কারণ বিনা চিকিৎসা করেই এক রোগী কে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠে এসেছে এবার এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ইমারজেন্সি বিভাগ থাকা সত্বেও একজন ইমারজেন্সি পেসেন্ট কে অন্যত্র রেফার করার ফলে মাঝপথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন রোগী। পরিজনদের অভিযোগের তীরে বিদ্ধ আইজিএম এর তথাকথিত পারদর্শী ডাক্তার বাবুরা।

ঘটনার বিবরন 

চিকিৎসা ব্যবস্থার করুন পরিস্থিতির জন্যে প্রাণ হারালেন ৫৪ বর্ষীয় শান্তি সাহা। এই অভিযোগ তুলেই আইজিএম হাসপাতালে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মৃতার পরিবার। উল্লেখ্য, পূর্ব প্রতাপগড়ের ৫৪ বছর বয়সী শান্তি সাহাকে আজ শ্বাস কষ্ট জনিত সমস্যার কারণে আইজিএম হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু তার ছেলের অভিযোগ সেখানে রোগীকে ধরেও দেখেননি কর্তব্যরত চিকিৎসক। তা না করেই রোগীকে জিবি হাসপাতালে রেফার করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু জিবি হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক জানান তিনি আর বেঁচে নেই। হতচকিত হয়ে পরে শান্তি সাহার ছেলে। গোটা ঘটনার জন্য আইজিএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কে দায়ী করেছেন উনার ছেলে।
উনি আরও জানান, আইজিএম হাসপাতাল থেকে জিবি তে রেফার করার সময় ও শান্তি সাহা নিজ চেতনায় ছিলেন। গাড়িতে উঠার কিছুক্ষণ পর উনার গাঁ গুলাতে থাকে এবং বমি করেন তিনি। এর পরপরই সংজ্ঞা হারান এবং উনার গাঁ হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে আসে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে জিবির কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা উনাকে মৃত বলে জানিয়ে দেন। এই অবস্থায় আইজিএম হাসপাতাল এ উনার প্রাথমিক চিকিৎসা না হওাকেই উনার মৃত্যুর অন্যতম কারণ বলে দাবী করেছেন উনার ছেলে।
একটি অন্যতম রেফারেল হাসপাতাল হওয়া সত্বে, ইমারজেন্সি বিভাগ থাকা সত্বে ও একজন ইমারজেন্সি রোগীকে নুন্যতম পরিচর্যা বা পর্যবেক্ষণ না করেই অন্যত্র রেফার করে দেওয়ার মতো ঘটনাতেই শান্তি সাহার এই আকস্মিক মৃত্যু বলে জানান উনার ছেলে। আশ্চর্যের বিষয়, কেন এই গাফিলতি ? ইমারজেন্সি ওয়ার্ড এ কেন ভর্তি করানো হল না শান্তি সাহা কে ? মোটা টাকার মাইনে প্রাপ্ত আইজিএম এর ডাক্তার বাবুদের এহেন অমানবিকতার পরিচয় পেয়ে হতবাক সকলেই।
মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা যেখানে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর কে উন্নত করতে একের পর এক চেষ্টা চালাচ্ছেন সেখানে কিছু অসাধু রাজনৈতিক মুখ আর কিছু শিক্ষিত সমাজবিরোধী দের দৌলতে উনার সমস্ত প্রচেষ্টাই যেন মাটিতে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। এই বিষয় গুলি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তদন্তে না আনলে ভবিষ্যতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও এই সরকারের প্রতি ও ভরসা উবে যাবে আম জনতার।

Leave A Reply