খবরে প্রতিবাদ

খবরে প্রতিবাদ

Friday, 27 June 2025 - 12:55 PM
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ - ১২:৫৫ অপরাহ্ণ

25 crores drugs ceased : ২৫ কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার সীমান্তে, রাজ্যে অবাধ নেশা কারবারের পেছনে রয়েছে বড় কোনো মুখ

25 crores drugs ceased
1 minute read
25 crores drugs ceased

নেশা বানিজ্যে অস্কার প্রাপক ত্রিপুরার সীমান্তে নিয়োজিত নিরাপত্তা রক্ষীদের নজরে ধুলো দিয়ে অনায়াসে পাচার কাজ চালাচ্ছে একাংশ নেশা কারবারিরা। প্রশাসনিক তৎপরতার ঢাক ঢোল পেটালেও বাস্তব চিত্র অন্যরকম।
কথায় আছে না , সরষে ক্ষেতেই ভূত। ত্রিপুরা রাজ্যের ও অবস্থা কিছুটা এমনই।
অবাধে চলতে থাকা নেশা বাণিজ্যের পেছনে রাজনৈতিক মদত জোগানো বড় মাথাদের কে খোলা ময়দানে ছেড়ে দিয়ে জন কয়েক চুনোপুঁটি নেশা কারবারিদের ধরে দিন কয়েকের জন্যে জেলে পুরে সবার কাছে ঢোল পিটিয়ে জানানো হচ্ছে যে রাজ্য সরকার ত্রিপুরা কে নেশা মুক্ত করতে চায়। আর সেই প্রয়াসই চলছে। মঞ্চে, মাইকে বড় গলায় নেশা মুক্তির ডাক দিয়ে মুখ ঘুড়িয়ে চলে যান নেতা বাবুরা। আর চোখ ঘুড়িয়ে নিলেই আবারো রাতের আঁধারে খবর আসে নেশা সামগ্রী পাচার হচ্ছে।
রাজ্যে বিশাল মাপের ড্রাগস এর আমদানি তার সবচাইতে বড় প্রমাণ। এবার রাজ্য থেকে বহিঃ রাজ্যে গাঁজা পাচার নয়, বরং মিজোরাম হয়ে ত্রিপুরায় ২৫ কোটি টাকার হেরোইন ড্রাগস আমদানির খবর এসেছে। গতকাল রাতেই গোপন খবরের ভিত্তিতে ২ কেজি ২১২ গ্রাম ড্রাগস ধরা পড়েছে ত্রিপুরা মিজোরাম সীমান্তে। দামছরা থানাবাবুদের হাটে আটক হয়েছে এই ড্রাগস বোঝাই এক বিলাশবহুল গাড়ি। আর তার সাথেই আটক হয়েছে দুই পাচারকারী। তাদের নাম সাইদুল রহমান ( বয়স ৩৫) এবং জসিম উদ্দিন (বয়স ৩৫)।
নেশা পাচারকারীদের আস্পর্ধা দিন কে দিন বেড়েই চলেছে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কখনো লরি তে করে, আবার কখনো ছোট জিপসি কিংবা অটো তে করে পাচার হচ্ছে নেশা সামগ্রী। এবার একেবারে বিলাশবহুল গাড়িতে করে মিজোরাম থেকে ত্রিপুরায় প্রায় ২৫ কোটি টাকার ড্রাগস পাচার হবার ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় রীতিমতো আতকে উঠেছেন ত্রিপুরার মানুষ। গাড়িটি তে তল্লাশি চালিয়ে ১৭৭ টি সাবানের কেইস এর ভেতর মোট ২ কেজি ২১২ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার হয়। আটককৃত উভয়ের বাড়ি সোনামুড়ার কোলবাড়ি ও ঠাকুরমুড়া এলাকায় বলে খবর । পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে দামছরা থানায়।
শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মহলের ধারণা পুলিশি তদন্তে এই বিশাল মাপের ড্রাগস পাচার এর পেছনে মূল মাস্টার মাইন্ড কারা রয়েছে তা ও বেড়িয়ে আসবে। রাজ্যে প্রবেশের পথে নাকা চেকিং, পুলিশ চেকিং রয়েছে জেনেও এতো বড় ডিল করার জন্যে যে পরিমাণ সাহসিকতার প্রয়োজন তা কোনো সাধারণ কারো পক্ষে সম্ভব নয়। এধরণের কাণ্ডের পেছনে প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক মদত নিশ্চিত রয়েছে।
সুতরাং, সরষে ক্ষেতে থাকা সেই ভূত কে উদ্ধার না করলে কোনো কালেই ত্রিপুরা কে আর যাই হোক “নেশা মুক্ত” করে তোলা যাবে না।

For All Latest Updates

ভিডিও