Tripura boy Neel towards Mount Everest
রাজ্যের ছেলে নিলের স্বপ্ন, সাইকেল চালিয়ে পৌঁছে যাবেন মাউন্ট এভারেস্টের ব্যাস কেম্পে। আর সেই স্বপ্ন কে বাস্তবায়িত করতেই গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলেছেন তিনি।
ত্রিপুরার ছেলে নীল দেবনাথ, রাজধানীর স্বনামধন্য উমাকান্ত একাডেমী স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। বাবা বরিষ্ঠ সাংবাদিক শ্রী হরিহর দেবনাথ এক সময় আগরতলা প্রেস ক্লাবের কেশিয়ার এবং ট্রেজারার ছিলেন। নীলের স্বপ্ন ছিল তিনি একদিন বাই সাইকেল চাপিয়ে পৌঁছে যাবেন মাউন্ট এভারেস্টে। আর সেই স্বপ্ন পূরণ করতে চলেছেন নীল খুব শিগগিরই।
পেশাগত জীবনে নীল একজন সিনেমাটোগ্রাফার এবং ওয়েব এডিটর। প্রফেশান হিসেবে সিনেমাটোগ্রাফি এবং ওয়েব এডিটিং কে বেছে নিলেও এভারেস্ট চড়ার স্বপ্নে বিন্দু মাত্র আচ পড়েনি তার।
২১শে মে দুপুর ১.৩০ মিনিটে হাওড়া থেকে বাই সাইকেলে যাত্রা শুরু করেন নীল। প্রথম গন্তব্য অযোধ্যার রাম মন্দির, দ্বিতীয় নেপাল দেশের রাজধানী কাঠমান্ডু আর তৃতীয় গন্তব্য মাউন্ট এভারেস্ট এর ব্যস ক্যাম্প। এর পর সেখান থেকে ফিরে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের জন্যে নিজের মাথার চুল দান করবেন নীল।
ইতিমধ্যেই ৩রা জুন অযোধ্যার রাম মন্দিরে পৌঁছেছে নীল। সেখান থেকে শ্রী রামের আশিস মাথায় নিয়ে আবারো রউনা হয়েছে সে নেপালের উদ্দেশ্যে। এরপর ৫ই জুন নেপালের সোনইলি বর্ডার দিয়ে নেপাল প্রবেশ করেছে। নীল জানিয়েছেন যে তার এই গোটা যাত্রা সম্পন্ন করতে প্রায় ৩০ – ৩৪ দিন সময় লাগবে।
নিজের এই স্বপ্ন নিয়ে তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে ৬ জন বাই সাইকেলে করে মাউন্ট এভারেস্টের ব্যাস ক্যাম্পে পৌঁছে ছিলেন, একই রেকর্ড গড়তে চান তিনিও। আর উনার এই স্বপ্ন সম্পূর্ণ ভাবেই উনার বাবা রাজ্যের এক বরিষ্ঠ সাংবাদিক শ্রী হরিহর দেবনাথ কেই উৎসর্গ করেছেন নীল।
নীল দেবনাথের এভারেস্ট অভিযান এর এই যাত্রা সহজ নয়। প্রতিদিন কয়েক কিলোমিটার পথ বাই সাইকেল চেপে অতিক্রম করে চলেছেন। কিন্তু নিজের বাবার প্রতি এবং ত্রিপুরা রাজ্যের প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা তাঁকে একটু একটু করে নিজের গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে অবশ্যই সাহায্য করবে,এমনটাই প্রত্যাশা রাখছি আমরাও। এর আগেও বহু মানুষ এভারেস্ট এর ব্যাস ক্যাম্পে পৌঁছেছেন। তবে বাই সাইকেল যোগে ত্রিপুরা রাজ্যের কারো পক্ষ থেকে এই লক্ষ্যমাত্রা স্থিরের প্রচেষ্টা অবশ্যই প্রথম বার।