Aryavart international university
যে উত্তর ত্রিপুরা জেলার মানুষ কে একটা ইউনিভার্সিটি বা পড়াশোনার সুবিধার জন্য হয় আগরতলা নতুবা আসামে দৌড়াতে হতো তাদের সেই দৌড়ের অবসান ঘটিয়ে হাতের কাছে বিভিন্ন ধরনের সিলেবাসের সুবিধা দিয়ে দিচ্ছে আরিয়াভার্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
এখন উত্তর জেলা ছাত্রছাত্রীদের ভালো ভালো কোর্স নিজের ঘরে বসে কোর্স সম্পূর্ণ করার সুবিধা দিয়েছে এই ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। বুধবার আরিয়া ভার্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে তাদের বর্তমান মিশন টিলাস্হিত কমপ্লেক্সে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত করে সাধারণ মানুষের জন্য বিষয়টি জানান দেন। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত ফাউন্ডার চেয়ারম্যান রোমান কুমার রোশন, জু-লজি বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর রুমা কৈরী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক চন্দন কুমার দেবনাথ এবং ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক জয় দেবনাথ। এই ওপেন ইউনিভার্সিটি পক্ষ থেকে সাত কোটি টাকার স্কলারশিপ এক্সাম আগামী ২১ এপ্রিল সংগঠিত হতে চলেছে। এই স্কলারশিপ এক্সাম ঘরে বসে দেওয়া যাবে এবং বিভিন্ন কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে ৯০% পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যাবে। তাছাড়া যারা তপশিলি জাতি এবং তপশিলি উপজাতি রয়েছেন তাদের কোন ধরনের সেমিস্টার ফি ছাড়া বিনা পয়সায় তাদের নির্ধারিত কোর্স সম্পূর্ণ করার সুযোগ পাবেন বলে জানানো হয় ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে। পৃথিবীর খ্যাতনামা কম্পানি আইবিএম তাদের নির্দিষ্ট ধারায় বিটেক কোর্স করার যে মৌ সাক্ষরিত হয়েছে তা বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে একটা সুবর্ণ সুযোগ বলে বর্ণনা করা হয় ইউনিভার্সিটির সাংবাদিক সম্মেলনে। ইতিমধ্যে এই ইউনিভার্সিটি ইউজিসি নর্ম পেয়ে গেছে এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও রাষ্ট্রীয় ইউনিভার্সিটি যেসব গ্রহণযোগ্যতা দরকার সবগুলি অর্জন করে ছাত্রছাত্রীদের নিশ্চিত ভবিষ্যতে দেখে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। এই ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন কোর্সের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের কে ভবিষ্যতে কেমন করে নিজেদেরকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এগিয়ে যাওয়া যায় তারও অতিরিক্ত ক্লাসের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এতো দিন পর্যন্ত ত্রিপুরা তে ওপেন ইউনিভার্সিটি বলতে একটাই নাম প্রচলিত ছিল, ইগনো। কিন্তু বর্তমানে সর্ব স্তরের পড়ুয়াদের শিক্ষা প্রদানে রাজ্যে আরও বেশি করে ওপেন ইউনিভার্সিটি তৈরির প্রকিয়া চলছে। এতে করে বহিঃ রাজ্যে অধিক অর্থ ব্যয় করে শিক্ষা অর্জন করার চাপ থেকে অনেকটাই মুক্ত হবে শিক্ষার্থীরা। এমনটাই মনে করছেন কর্তৃপক্ষ ও।