দিন দুপুরে ডিভাইডারের সাথে সংঘর্ষে জিপ গাড়িতে থাকা ৯ জন কলেজ পড়ুয়া গুরুতর আহত
সাত সকালে শহর আগরতলা জুড়ে আতঙ্কের বাতাবরণ। কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী বোঝাই গাড়ির আচমকা দুর্ঘটনা গ্রস্থ হবার খবর দিয়েই শুরু হল এদিনের সকাল। মঙ্গলবার সকাল প্রায় সাড়ে ১০ টা নাগাদ রাজধানী আগরতলার ভিআইপি রোড তথা গোর্খা বস্তি এলাকায় একটি ছাত্র বোঝাই জিপ গাড়ি আচমকা রাস্তার মাঝে থাকা ডিভাইডারের উপর গাড়ি তুলে দেয় এবং সেই ডিভাইডার গুলো রাস্তার মাঝেই ভেঙ্গে ছিটকে পরে যায়। সাথে সাথে গাড়িতে থাকা শিক্ষার্থীরা গুরুতর আহত হন এবং খবর অনুযায়ী তাদের মধ্যে একজন গাড়ি থেকে পরে যান ও তার একটি পা ভেঙ্গে যায়।
সাথে সাথে প্রত্যক্ষ দর্শীরা ফায়ার স্টেশনে খবর পাঠালে কুঞ্জবন ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা তড়িঘড়ি ছুটে এসে আহত দের উদ্ধার করেন এবং জিবিপি হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনায় আহত দের পরিবার পরিজনেরা ও ছুটে আসেন হাসপাতাল চত্বরে। দিনের বেলায় শহরের এমন একটি ভিআইপি রোডে এধরনের ঘটনা কেন ঘটলো ? কিভাবে ঘটলো ? সেই প্রশ্নই সবার মনে।
ফায়ার স্টেশনের এসও দেবব্রত বাবু ও এ বিষয়ে ঠিক ভাবে কিছু বলতে পারেননি কারণ ঐ অবস্থায় আহত দের উদ্ধার কাজে সকলেই ব্যস্ত ছিলেন। তবে কি এই ঘটনা সম্পূর্ণ ভাবেই গাড়ি চালকের গাফিলতির কারণ ? নাকি এক্ষেত্রে ও ট্র্যাফিক পুলিশের ভূমিকা কেই প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাড় করানো উচিৎ ?
যে জায়গায় ঘটনা টি ঘটেছে সেখানে সাধারণত কোনো পুলিশ মোতায়েন থাকেন না। স্বাভাবিক নিয়মেই যান চলাচল করে থাকে। তার কিছুটা সামনে এগিয়ে গেলেই গোর্খা বস্তির ট্র্যাফিক পয়েন্ট। কিন্তু যে স্থানে ঘটনা টি ঘটেছে সেখানে এধরণের ঘটনা এর আগে বিরল। পরিস্থিতি অনুধাবন করলে গাড়ি চালকেরই দোষ বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা যাচ্ছে।
তবে যান দুর্ঘটনার বিষয়ে বলতে গেলে , রাজ্যের যত্র তত্র যান দুর্ঘটনার সংখ্যা কিন্তু নেহাত কম নয়। ইদানিং কালে রাজধানীর বুকে একের পর এক যান দুর্ঘটনার কবলে পরে বলি হয়েছে বহু প্রাণ। এদিনের ঘটনা তেও আহত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এই ধরণের ঘটনার পেছনে যেমন একদিকে ট্র্যাফিক দপ্তরের দায়িত্বে খামতির প্রশ্ন উঠে, তেমনি যান চালকদের বেপরোয়া ভাব কেউ একেবারে হেলায় ঠেলে ফেলা যায়না। প্রায়শই রেকলেস ড্রাইভিং এর দৌলতে অকালে বহু প্রাণ ঝড়ে পড়ছে। কেউ কেউ কোনো ক্রমে যমের দুয়ার থেকে ফিরছে ঠিকই । তবু ও এই রেকলেস ড্রাইভিং এর হিড়িক যেন থামছেই না।
এদিনের ঘটনার পেছনে ও এমনই কোনো কারণ ছিল কিনা সেটাই তদন্তের বিষয়।