Youth congress reviving its power

রাজ্যে যুব কংগ্রেসের নয়া চিত্র। দীর্ঘদিন পরে রাজ্য যুব কংগ্রেস তাদের পুরনো ফর্মে ফিরছে। রাজ্যের যুব কংগ্রেসের ডাকা বিক্ষোভ মিছিলে যুবকদের জনঢল পরিলক্ষিত করলো শহর আগরতলা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যে যুব কংগ্রেস এক অভূতপূর্ব শক্তির মহরা প্রদর্শন করলো।
রাজ্যের ছাত্রদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করতে যাওয়ার তাগিদে এবার ময়দানে নেমে রাজ্য সরকারের চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করলো যুব কংগ্রেস। আর তাতেই পুলিশের চোখ রাঙ্গানির শিকার জুব কংগ্রেস। ১৬০ টির ও বেশি বিদ্যালয় কেন করা হবে বন্ধ, প্রশ্ন তুলতেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠার উপক্রম রাজ্য সরকারের।
রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার করুন চিত্র কারোর কাছেই অজানা বিষয় নয়। শিক্ষক বিহীন ভাবে পরিচালিত হচ্ছে বহু স্কুল। তার মধ্যে এবার রাজ্য সরকারের নয়া নির্দেশিকা জারি হচ্ছে যাতে পশ্চিম জেলার ১৬০ টির ও বেশি স্কুল এবং উত্তর জেলার প্রায় ১৭০ টি স্কুল ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানানো হচ্ছে। কেন এই সিদ্ধান্ত, স্পষ্টীকরণ নেই সরকারের কাছে। এতো গুলো বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কি, সেই নিয়েও নেই কোনো জবাব। অতঃপর আবারো জবাব চাইতে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহার বাড়ির সামনে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতেই পুলিশের লাঠি সোটার আঘাতে আবারো নাজেহাল ছাত্র যুব সংগঠন।
প্রসঙ্গত আজ বুধবার রাজধানী স্থিত মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব বাস ভবনের সামনে গিয়ে রাজ্যের এতো গুলো ছাত্রের ভবিষ্যৎ কে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার কারণ জানতে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কংগ্রেসের ছাত্র যুব সংগঠন ।
এদিকে তাদের বিক্ষোভ এর ধ্বনি চারিদিকে ছড়িয়ে পরতেই রাজ্যের কালারস প্রাপ্ত পুলিশ এবং মুখ্যমন্ত্রীর আবাসের বাহিরে থাকা টিএসআর কর্মীরা তাদের কে বাঁধা দেয় এবং সমস্ত বিক্ষোভ কারীদের কে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এডি নগর পুলিশ গ্রাউন্ডে। সেখানে দিনভর বিক্ষোভ রত প্রায় ১২০ জন যুবক কে এক গ্লাস জল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। অবশেষে ক্ষুধার্ত যুবকেরা চিৎকার চেঁচামেচি করলে ১২০ জন যুবকের জন্যে কিছু শুকনো চিরে, গুঁড় এবং ২০০ গ্রাম এর একটি চানাচুরের প্যাকেট এর বন্দোবস্ত করে পুলিশ। আর নিয়ে আবারো সরগরম হয়ে উঠে পরিস্থিতি।
রাষ্ট্রপতি কালারস প্রাপ্ত পুলিশের এধরণের ভূমিকা তীব্র নিন্দনীয় বলে দাবী করছেন সকলেই। তার চাইতে ও বড় কথা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে একেবারে তলানিতে ঠেকিয়ে , কোনো রকম যৌক্তিকতা না দর্শীয়ে এভাবে সরকারি বিদ্যালয় বন্ধ করে ফেলার ঘটনায় প্রশ্ন তুললেই রাজ্যের বিজেপি সরকার বিরোধী শিবির দের কে কোণঠাসা করে ফেলার ফন্দি আঁটছে। আজকেও একই কায়দায় বিক্ষোভ রত যুবকদের থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মুলেই রাজ্য পুলিশ তাদের আটক করে নিয়ে গেছে । এদিকে সেখানেও তাদের সাথে করা হয়েছে অমানবিক আচরণ। এতো কিছুর পরেও কি রাজ্যের মানুষের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে ?

Leave A Reply