Sudip Roy Barman reaction on CAA
কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অর্থাৎ সিএএ বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নাগরিকদের আবেদনের ভিত্তিতে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হলে জাতি জনগণনা পরিবর্তন হয়ে যাবে। তখন চাকুরী, জিডিপি সহ সবকিছুতে নিজেদের ভাগ বসাবে তারা, যা ত্রিপুরাবাসী কোনোভাবে মেনে নেবেন না। তাই মঙ্গলবার প্রদেশ কংগ্রেসের উদ্যোগে সিএএর বিরোধিতা করে মুখ্য সচিবের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হবে। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ।
এদিন তিনি বলেন, শুধুমাত্র ভোটে জেতার জন্য সরকার সারা দেশে সিএএ বাস্তবায়ন করছে। কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং মিজোরামের এডিসি এলাকায় সিএএ লাগু হবে না। কিন্তু সিএএ ত্রিপুরা চালু করাটাই ভুল সিদ্ধান্ত।এদিন তিনি তিপ্রা মথার প্রাক্তন সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণকে একহাত নিয়েছেন। তার কটাক্ষ, রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল তিপ্রা মথার প্রাক্তন সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ সিএএ বাস্তবায়নের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। তৎকালীন সময়ের তিনি দাবি করেছিলেন উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে সিএএ বাস্তবায়ন হলে সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলবে। কিন্তু আজ সামাজিক মাধ্যমে মানুষকে বোকা বানানোর জন্য সিএএ নিয়ে পোস্ট করছেন তিনি।এদিন তিনি বলেন, সিএএ আইনে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হলে জাতি জনগণনা পরিবর্তন হয়ে যাবে। ত্রিপুরায় লক্ষ লক্ষ মানুষকে যখন ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে তখন গণতন্ত্র পরিবর্তন হয়ে যাবে। আগত নাগরিকদের তখন চাকুরী, জিডিপি সহ সবকিছুতে নিজেদের ভাগ বসাবে, যা ত্রিপুরাবাসী কোনোভাবে মেনে নেবেন না। কারণ, রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে কাজ, খাদ্য, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, সেচ, পরিকাঠামোগত উন্নয়নয়ে ভুগছে। তারপর ও সরকার প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে যাচ্ছে। এটা রাজ্যের মানুষজনের জন্য মারাত্মক ধরনের বিপদ।