Storm ruining human life : আচমকা ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি গ্রস্থ কমলাসাগর বিধানসভা কেন্দ্রের জনজীবন
মাথার উপরের ছাউনি অব্দি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। মাথা গোঁজার জায়গা টুকু অব্দি নেই।
বৈশাখ এর আগমনের পূর্বেই বৈশাখী ঝড়! চৈত্রে এমন ঝড় হলে নাকি গোটা বছর ব্যাপক ঝড় ঝাপটার মধ্যে দিয়েই কাটাতে হয়। প্রাচীন আমলের লোকেরা এমনটাই বিশ্বাস করেন। আর যদি এমনটা হয় তবে কৃষিকুল থেকে শুরু করে সাধারণ জনজীবন কতটা ব্যাহত হবে সেটা ভাবলেই একটা আলাদা ভয় জেগে উঠে মনের কোণে।
চৈত্রের এই ঝড় এর কিছু ঝলক ত্রিপুরার বুকে আবারো ধরা দিল রবিবার সকালে। হঠাৎ করেই আচমকা ঝড়। সকাল প্রায় ৭ টা নাগাদ ঝড়ের শুরু। টানা ঘণ্টা খানেকের ও বেশি সময় যাবত তীব্র বৃষ্টিপাত আর বাতাসের ধাক্কায় রাজ্যের বিভিন্ন অংশে মানুষ জন হয়ে পড়েছেন ভিটে ছাড়া। কারো কারো উড়ে গেছে গড়ের চাল। মাথা গোঁজার জায়গা হিসেবে বেছে নিতে হয়েছে নিকটস্থ স্কুল কিংবা অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্র। এমনই চিত্র উঠে এসেছে ত্রিপুরার কমলাসাগর বিধানসভা কেন্দ্রের কিছু এলাকা থেকে।
রবিবার সকালে উদয় হওয়া এই আচমকা কালবৈশাখী ঝড় উক্ত বিধানসভার লেম্বু তলী , ধনছড়ি , গকুলনগর , রাস্তার মাথা এলাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষের বাড়ি ঘর ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। রবিবারের এই প্রবল ঝড়ে কমলা সাগর বিধানসভার বিভিন্ন এলাকার বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে মাটিতে পড়ে যায়। আবার কোন কোন জায়গায় বৈদ্যুতিক তারে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। গাছ ভেঙ্গে পরে বন্ধ হয়ে যায় আগরতলা কমলাসাগর সড়ক। রাস্তা পরিষ্কার করতে হাত লাগায় টি এস আর জওয়ান। এদিনের ঝড়ে আনুমানিক ৭০ পরিবার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। আবার কয়েকটি পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে ইতিমধ্যে আশ্রয় নিয়েছে লেম্বু তলী স্কুলে। খবর পেয়ে কমলাসাগর মন্ডল সভাপতি সুবীর চৌধুরী ছুটে যান এলাকাগুলিতে। কথা বলেন অসহায় মানুষের সঙ্গে । কিছু কিছু পরিবারের দুর্দশা দেখে নিজের পকেট থেকে আর্থিক সাহায্য করেন তিনি।
এছাড়া ও গোমতী জেলার উদয় পুরে এদিন সকালের তীব্র বৃষ্টিপাতের সাথে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন একজন। রাজধানীর বুকে রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতাল সংলগ্ন স্থানে ভেঙ্গে পড়েছে ৫০ বছর পুরনো এক বিশালাকার বৃক্ষ। সব মিলিয়ে চরম অবস্থা । প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাকে বলে , কাল বৈশাখীর ঝড় এই প্রশ্নের একেবারে স্পষ্ট জবাব।