School teacher indulged in alienation
যারা সমাজকে আলো দেবে , শিক্ষা দেবে, সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আসবে তারাই মূল্যবোধের সম্পর্ককে পায়ের তলায় পিশে দিচ্ছে। ব্যভিচারীতে লিপ্ত হচ্ছে দিনের পর দিন। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর গাঙ্গাইল রোড এলাকার একটি স্কুলের শিক্ষক সঞ্জীব দেববর্মার বিরুদ্ধে। তার স্ত্রী চিনু দেববর্মা নিজেই স্বামীর আসল চরিত্র ফাঁস করেছেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে।
১৯৯৮ সালে চিনু দেববর্মা বিয়ে করেছিলেন সঞ্জীব দেববর্মাকে। তাদের দুটি মেয়ে সন্তান ও রয়েছে। বিগত ছয় বছর তাদের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। তিনি ঠিকঠাক মতো বাড়িতে আসছেন না। গত কয়েক মাস স্বামী সঞ্জীব অন্য মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন বলেও অভিযোগ স্ত্রীর। শ্যামলী বাজারের একটি কোয়ার্টারে তারা একসঙ্গেই থাকেন। ডিভোর্স ছাড়াই সঞ্জীবের এই কীর্তি!
ওই মহিলা নিজেও বিবাহিত। তার ছেলে মেয়েদের পড়ার খরচ যুগিয়ে যাচ্ছে সঞ্জীব। স্ত্রী চিনু দেববর্মার আরো অভিযোগ তার দুই মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ও স্বামী কোনো দায়িত্ব পালন করেনি। কয়েক মাস আগে চম্পক নগরের খামার বাড়িতে তাকে মারধর করে বন্ধনের দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে গেছেন সঞ্জীব। স্ত্রীর অভিযোগ থানায় পুলিশের কাছে তিনি আইনী সাহায্যের জন্য গেছিলেন কিন্তু তাকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মায়ের এবং পরিবারের উপর চলা গুণধর সঞ্জীবের নির্যাতনের কাহিনী তুলে ধরেছেন মেয়েও। এমতাবস্থায় গণমাধ্যমের সামনে নানান অভিযোগ তুলে ধরার পাশাপাশি সুবিচার চেয়েছেন নির্যাতিতা চিনু দেববর্মা।
বিদ্যালয়ে শিক্ষকের মতো একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পেশায় যুক্ত তথা সমাজ গঠনের দায়িত্বে নিয়োজিত একজন ব্যক্তি নিজেই যখন সমাজবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত হয়ে পরে তখন সমাজ তো অধঃপতনে যাবেই। এধরণের ব্যাক্তিদের নিঃসন্দেহে আইনি পথে কঠোর সাজা দেওয়া উচিৎ।